জাতীয়

এই দুর্দিনেও বন্দরে পড়ে আছে ১২ কন্টেইনার পেঁয়াজ-রসুন-আদা!

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের এই দুঃসময়ে যখন সব পণ্যের বাজারে আগুন, তখন প্রায় এক মাস ধরে ১২টি কন্টেইনারে আদা, পেঁয়াজ ও রসুনের মতো নিত্যপণ্য পড়ে আছে চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে। নির্দিষ্ট সময়ে আমদানিকারকরা পণ্য ছাড় না করায় এসব এখন নিলামে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কাস্টম কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

বন্দর সূত্র জানায়, জাহাজ থেকে নামানোর পর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে থাকা আদা, পেঁয়াজ ও রসুনের ১২ কন্টেইনার নির্দিষ্ট সময়ে আমদানিকারকরা নেননি। এর মধ্যে পেঁয়াজভর্তি ৯টি, রসুন ভর্তি ২টি এবং আদাভর্তি ১টি কন্টেইনার রয়েছে। এসব পেঁয়াজ, রসুন এবং আদার কন্টেইনার জাহাজ থেকে নেমেছে মাসখানেক আগে।

অন্যদিকে পেঁয়াজ, আদা এবং রসুনের জন্য চলতি রমজানে অতিরিক্ত চাহিদা রয়েছে ভোক্তাদের। আমদানিকারকরা এসব পণ্য না নিলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই নিলামে তুলতে প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে কাস্টম কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যেই এসব পণ্যগুলো নিলামে তুলতে আরএল (রিমোভ লেটার) দেয়া হয়েছে কাস্টম হাউসকে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্দরে ১২ কন্টেইনারে থাকা এই পেঁয়াজ-রসুন-আদা দ্রুত বাজারে এলে দেশের করোনা পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও সাধারণ ক্রেতারা পণ্যগুলো ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারবেন।

Advertisement

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম জাগোনিউজকে বলেন, ‘প্রায় এক মাস আগে এই ১২ কন্টেইনারে পেঁয়াজ, রসুন ও আদা বন্দরে এসেছে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ায় পরও আমদানিকারকরা এসব পণ্য ছাড় করাচ্ছেন না। তাই বন্দর কর্তৃপক্ষ গত সোমবার (২৭ এপ্রিল) কাস্টম হাউসকে চিঠি দিয়েছে। আমদারিকারকরা নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য খালাস করে না নিলে সেসব পণ্য কাস্টম হাউস নিলামেই তোলে।’

তিনি বলেন, ‘শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কনটেইনারে পচনশীল আদা, পেঁয়াজ, রসুন, ফল আমদানি হয়। বন্দরে নামার পর বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েই আমদানিকৃত এ ধরনের কন্টেইনার নিরাপদে রাখতে হয়। এতে যদি মাসের পর মাস পণ্য ডেলিভারি না হয়, তাহলে বন্দরের বিদ্যুৎ অপচয় হয়, পণ্যও পচে যায়, শিপিং এজেন্টের কন্টেইনারও আটকে থাকে। তাছাড়া বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বাজারে এসব পণ্যের সংকট রয়েছে, সেটা বিবেচনায়ও দ্রুত নিলাম করলে সংকটে কিছুটা কাজে আসবে।’

আবু আজাদ/এইচএ/জেআইএম

Advertisement