গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ২১০টি দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
Advertisement
গত কয়েক মাসের প্রচেষ্টায় করোনা বিপর্যয় অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে চীন। যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইতালির মতো দেশগুলোও করোনার সঙ্গে পেরে উঠছে না।
শক্তিধর দেশগুলো করোনার কাছে নাজেহাল হয়ে পড়েছে। অথচ চীন এই ভয়াবহ পরিস্থিতি অনেকটাই সামলে উঠেছে। সেখানে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুও নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
তবে দেশটিতে গত কয়েক সপ্তাহে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানিয়েছে, মঙ্গলবার নতুন করে আরও ২২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। যদিও এদিন নতুন করে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
Advertisement
নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ২১ জনই বহিরাগত। বাকি একজন গুয়াংডং প্রদেশের স্থানীয় বাসিন্দা। ফলে বহিরাগতদের মাধ্যমে নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অপরদিকে, উপসর্গবিহীন ২৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশজুড়ে ৯৯৩ জন উপসর্গবিহীন রোগীকে বিভিন্ন হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ৮৫৮। এর মধ্যেই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে ৭৭ হাজার ৫৭৮ জন। অপরদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩৩ জন।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement