রাজধানীসহ সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে ২৬৫ জন নার্স করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৭টি সরকারি হাসপাতালের ১৬৬ জন ও বেসরকারি ১৮টি হাসপাতালে ৯৯ জন। মোট আক্রান্ত নার্সদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের সর্বোচ্চ ২২৫, বরিশালে চারজন, সিলেটে দুইজন, ময়মনসিংহে ২৩ জন, রংপুরে তিনজন, খুলনায় ছয়জন ও রাজশাহীতে দুইজন রয়েছেন। আক্রান্ত নার্সদের মধ্যে তিনজন সন্তান সম্ভবাও রয়েছেন। এখন পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে চারজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
Advertisement
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সোসাইটি ফর নার্সেস সেফটি অ্যান্ড রাইটস নামের একটি সংগঠনের পরিসংখ্যানে (২৯ এপ্রিল দুপুর ২টা পর্যন্ত) এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪২ জন, সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১২ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাতজন, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে একজন, কুয়েত বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে তিনজন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারজন, ঢাকা শিশু হাসপাতালের একজন নার্স করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
ঢাকার বাইরে যেসব সরকারি হাসপাতালের নার্স করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জের ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নয়জন, ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জের একজন, গাজীপুর কাপাসিয়া ইউনিয়ন হেলথ সেন্টারে সাতজন, গাজীপুরের কালিয়াকৈর ইউনিয়ন হেলথ সেন্টারের একজন, গাজীপুরের কালিগঞ্জ ইউনিয়ন হেলথ সেন্টারের সাতজন, নরসিংদী ১০০ শয্যা জেলা হাসপাতালের আটজন, নরসিংদীর বেলাবো ইউনিয়ন হেলথ সেন্টারে চারজন, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ ইউনিয়ন হেলথ সেন্টারে একজন, কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে একজন, ভৈরব ইউনিয়ন হেলথ সেন্টারে ১০ জন, কিশোরগঞ্জ তাড়াইল ইউনিয়ন হেলথ সেন্টারে চারজন, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী ইউনিয়ন হেলথ সেন্টারে একজন, কিশোরগঞ্জের মিঠামইন ইউনিয়ন হেলথ সেন্টারে একজন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩ জন, নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি ইউনিয়ন হেলথ সেন্টারে দুইজন, ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা ইউনিয়ন হেলথ সেন্টারে একজন, গফরগাঁও ইউনিয়ন হেলথ সেন্টারে তিনজন, জামালপুর সদর হাসপাতালে একজন, জামালপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে দুইজন, জামালপুর বকশীগঞ্জ ইউনিয়ন হেলথ সেন্টারে একজন, শেরপুর সদর হাসপাতালে একজন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজন, রাজশাহীর নওগাঁর রাণীনগর ইউনিয়ন হেলথ সেন্টারে একজন, পাবনা সদর হাসপাতালে একজন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল দুইজন, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চারজন, শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন, বরিশাল বাবুগঞ্জের ইউনিয়ন হেলথ সেন্টারে তিনজন, হবিগঞ্জের লাখাই ইউনিয়ন হেলথ সেন্টারে একজন ও মাদবপুর ইউনিয়ন হেলথ সেন্টারে একজন।
বেসরকারি ১৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রাজধানীতেই ১৭টি। এর মধ্যে পান্থপথের বিআরবি হাসপাতালে ১৫ জন, বারডেম হাসপাতালে ১৬ জন, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ছয়জন, এভার কেয়ার এপোলো হাসপাতালে একজন, ইউনাইটেড হাসপাতালে ছয়জন, ধানমন্ডির পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুইজন, আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুইজন, আজগর আলী হাসপাতালে ২৫ জন, ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালে ছয়জন, মিরপুরের ডেল্টা হাসপাতালে একজন, ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন, ইবনে সিনা হাসপাতালে দুইজন, ইম্পালস হাসপাতাল দুইজন, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন, আইসিডিডিআরবি একজন, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল দুইজন ও গ্রীন লাইফ হাসপাতালের দুইজন নার্স করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া ঢাকার বাইরে একমাত্র বেসরকারি হাসপাতাল গাজীপুর কে পিজি হসপিটালের আটজন নার্স করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
Advertisement
এমইউ/এমএফ/পিআর