বাঙ্গালি উৎসবের জাতি। উৎসবের মাধ্যমেই সকল আনন্দ-বেদনা ভাগ করে নেয়। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলে এক হয়ে যায় উৎসব আয়োজনে। প্রকৃতি বন্দনায় প্রতিটি উৎসব আয়োজনের উৎস। দিগন্ত জোড়া নীল আকাশ, কাশফুল আর শিউলি ফুল বলে দেয় শরতের কথা। ইট কাঠের কংক্রিটের নগর জীবনে একটু ভিন্নধারার আয়োজন ছিল শুক্রবার সন্ধ্যায় রিকাবীবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামের উন্মুক্ত মঞ্চে। অনুষ্ঠানস্থল জুড়ে ছিল প্রকৃতির আবহ।অতিথিদের বরণ করে নেয়া হয় শিউলি, কাশ ফুল আর পদ্মফুলের মাধ্যমে। বন্দনা করা হয় শরতের। আর এ বর্ণিল আয়োজন ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রুতি সিলেটের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বর্ষভিত্তিক কার্যক্রমের সূচনা আয়োজন ‘শারদ অর্ঘ্য’। শরত আবহন আর মঙ্গল ঢাকের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। শারদ উৎসব নিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রুতি সিলেটের সদস্য সচিব সুকান্ত গুপ্ত। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠি কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার আরশ আলী, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির জেলা সংগঠক সাইদুর রহমান ভুইয়া, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর অসিত দাশ গুপ্ত, নাট্য ব্যক্তিত্ব নিরঞ্জন দে যাদু, অনিমেষ বিজয় চৌধুরী, বিপুল শর্ম্মা, সুমন্ত গুপ্ত প্রমুখ। বক্তারা বর্তমান সময়ে নতুন প্রজন্মকে প্রকৃতির সান্নিধ্যে নিয়ে আসা ও আবহমান বাঙালি সংস্কৃতির এই চিরায়ত ঐতিহ্যকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। সম্মেলক পরিবেশনায় অংশ নেন- জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ, গীতবিতান-বাংলাদেশ, ছন্দনৃত্যালয় ও আয়োজক শ্রুতি-সিলেট। একক আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশন করেন বিজন দাশ, তন্বী দেব, প্রদীপ মলিক, ফাতেমা রশীদ সাবা, রাজীব চৌধুরী, লিংকন দাশ প্রমুখ।ছামির মাহমুদ/এসএইচএস
Advertisement