নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার পরিবারের ১৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে ওই কর্মকর্তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওই কর্মকর্তা ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের দেলপাড়ার মির্জাবাড়ি মোড় এলাকার বাসিন্দা।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা করোনাবিষয়ক ফোকাল পারসন ও সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তা ডা. শিল্পী আক্তারের বাবার বাড়ির পরিবারের ১৭ জন সদস্যের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সোমবার নমুনা পরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রথমে ডা. শিল্পী আক্তারের ভাই আনিসের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। পরে সন্দেহ হলে পরিবারের অন্য সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠালে সোমবার সেই রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। বাসায় রেখেই ওই ১৭ করোনা রোগীর চিকিৎসা চালানো হচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে শিল্পী আক্তারের বাবা, মা, ভাই, বোন, চাচাও রয়েছেন। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৪ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ এবং ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর রয়েছে। তবে শিল্পী আক্তারের নিজের করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শিল্পী আক্তার জানান, সিভিল সার্জন অফিসে তার জন্য খাবার দিয়ে যেতেন তার ছোট ভাই। হঠাৎ ছোট ভাই অসুস্থ হয়ে পড়লে তার করোনা পরীক্ষা করা হয়। গত ২১ এপ্রিল রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। পরিবারের অন্য কারোর কোনো উপসর্গ না থাকলেও সন্দেহবশত গত ২৩ এপ্রিল বাকি ১৮ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সাত বছরের এক শিশু ছাড়া পরিবারের ১৭ জনেরই করোনা পজিটিভ আসে।
Advertisement
শিল্পী আক্তার বলেন, আমার বাবার বাড়ির পরিবারের ১৭ জনই করোনা পজিটিভ। তবে তাদের কোনো উপসর্গ নেই। প্রথম ছোট ভাইয়ের পজিটিভ আসায় বাকিদের পরীক্ষা করিয়েছিলাম। সবাই বাড়িতে আইসোলেশনে আছে।
অন্যদিকে এলাকাবাসীর দাবি, ওই পরিবারের সব সদস্যই এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসকের কাছে তাদের অনুরোধ ওই পরিবারের সদস্যদের যেন বাসার ভেতরে বা হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এদিকে ওই পরিবারের ১৭ জনের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবরে স্থানীয় কিছু লোকজন আক্রান্ত পরিবারকে এলাকা থেকে বের করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এমন সংবাদে মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা বারিক সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ওই বাড়ি যান এবং বাড়ি লকডাউন করেন। এছাড়া এলাকার অপপ্রচারকারীদের সাবধান করেন।
শাহাদাত হোসেন/এফএ/পিআর
Advertisement