জাতীয়

৮০ টাকার মাল্টা রমজানে ১৮০ টাকা

বর্তমানে প্রায় সব ফলের দাম বেশি। কোনো কোনো ফলের দাম প্রায় দ্বিগুণ। আবার প্রায় তিনগুণও হয়েছে কয়েকটি ফলের দাম। রমজানকে কেন্দ্র করে বর্তমানে ৮০ টাকার মাল্টার দাম বেড়ে পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে। আবার খুচরা বাজারেও তা ২০০ টাকার কমে মিলছে না।

Advertisement

রমজানের আগে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা এক কেজি মাল্টার পাইকারি দাম ছিল ৮০ টাকা। অথচ রমজান আসার মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে এই মাল্টাই প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে।

মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ফলের আড়ত ফলমুণ্ডিতে এভাবেই মাত্রাতিরিক্ত দামে মাল্টা বিক্রির প্রমাণ পেয়েছেন জেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম ও সেনাবাহিনীর মেজর মোবাশ্বির।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের অভিযোগ ছিল, নগরের ফলমণ্ডিতে পাইকারি ফল ব্যবসায়ীরা মাল্টার দাম গত এক সপ্তাহ যাবত মাত্রাতিরিক্ত বেশি রাখছে। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত ফলমুণ্ডিতে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে দেখা যায়, ফলমণ্ডির অধিকাংশ আড়তদার তাদের দোকানে ফল আমদানির তথ্য, কাদের কাছ থেকে কী দামে এনেছে সে সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র (ইনভয়েস, রশিদ) সংরক্ষণ করছে না।

Advertisement

তিনি বলেন, আড়তদারদের থেকে তথ্য যাচাই করে দেখা গেছে, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের দিকে পাইকারিতে মাল্টার কেজি ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। রমজানকে সামনে রেখে সেই দাম ধাপে ধাপে ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বাড়ানো হয়। কিন্তু রমজান শুরুর মাত্র দুদিন আগে থেকে মাল্টার দাম একলাফে ১৬০ টাকা বেড়ে যায়, যা খুচরায় ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এসব অভিযোগে মেসার্স মক্কা ফল বিতান এবং মেসার্স গরিবে নেওয়াজ ফার্ম- এই দুটি আড়ত মালিককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুযায়ী ২০ হাজার করে মোট ৪০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, পুরো ফলমণ্ডি বাজারের কোনো দোকানেই ব্যবসায়ীরা মূল্য তালিকা সংরক্ষণ করছেন না। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবসায়ী-দোকান মালিক সমিতিকে প্রতিটি ফলের আড়তে মূল্য তালিকা প্রদর্শন নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতিতে ৩০ মিনিটের মধ্য সব আড়তে মূল্য তালিকা টাঙানো হয়।

আবু আজাদ/এমএসএইচ/এমএস

Advertisement