চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার জট নিরসনে স্টোররেন্ট শতভাগ মওকুফের সময় বাড়ানো হয়েছে। শিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী ৪ মে পর্যন্ত এ সুবিধা ভোগ করবে।
Advertisement
গত সোমবার (২৭ এপ্রিল) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে বন্দর কর্তৃপক্ষ পোশাক শিল্প মালিকদের মাশুল ছাড়ের সুবিধা দিয়ে নতুন একটি আদেশ জারি করে। এটি পাবেন শুধু বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সদস্যরা। ফলে চট্টগ্রাম বন্দর চত্বরে আমদানি করা কনটেইনার রাখার ভাড়া তাদের দিতে হবে না।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক জাগোনিউজকে বলেন, পোশাক কারখানা মালিকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে স্টোররেন্ট মওকুফ সুবিধাটি দেয়া হয়েছে। পণ্য আমদানির পর আমদানিকারকেরা দ্রুত তা ছাড়করণের উদ্যোগ নেবেন এটা আমাদের প্রত্যাশা। এছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে কাস্টমসসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোও আরও বেশি দায়িত্ব নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করলে বন্দরের পরিচালন ও খালাস কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটির সময় থেকে বন্দর দিয়ে আমদানি করা সব ধরনের কন্টেইনার রাখার ভাড়ায় ছাড় দেয়া হয়েছিল। সাধারণ ছুটির কারণে বেশিরভাগ সংস্থার সেবার আওতা সীমিত করায় এই ছাড় দেয়া হয়। কিন্তু এ সুবিধা নিয়ে উল্টো বন্দরে কনটেইনার ফেলে রেখে জট বাড়িয়ে দিলে গত ২০ এপ্রিল থেকে তা প্রত্যাহার করে নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
আবু আজাদ/এইচএ/এমএস