রাজনীতি

বেতনসহ শ্রমিক-কর্মচারীদের ৩ মাসের ছুটি দাবি সিপিবির

বর্তমান করোনাভাইরাস সংকটকালে চাকরিচ্যুত করার ভয় দেখিয়ে শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বাধ্য করে কিছু গার্মেন্টস ও কারখানা খুলে দেয়ায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।

Advertisement

সোমবার (২৭ এপ্রিল) অনলাইনে অনুষ্ঠিত ‘কোভিড-১৯ রেসপন্স টিমে’র এক সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিপিবির নেতারা।

তারা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে গার্মেন্ট, কারখানা খুলে দেয়া চরম হঠকারিতা। এটা মালিকের মুনাফার স্বার্থে শ্রমিকদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া ছাড়া কিছুই নয়। করোনা-মহাসংকটকালে এর আগেও মালিকরা গার্মেন্ট শ্রমিকদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন। শতশত কিলোমিটার হেঁটে ঢাকায় এসে শ্রমিকরা আবার ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দেশে যখন ‘সাধারণ ছুটি’, ‘লকডাউন’ চলছে এবং দেশবাসী চরম আতঙ্কে, তখন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়াই একেবারে অপ্রস্তুত অবস্থায় এভাবে গার্মেন্টস খুলে দেয়াটা গোটা জাতির জন্যই আত্মঘাতী।

সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আরও অংশ নেন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, সহকারী সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, প্রেসিডিয়াম সদস্য রফিকুজ্জামান লায়েক, মিহির ঘোষ, আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক আহসান হাবিব লাবলু, রুহিন হোসেন প্রিন্স, জলি তালুকদার, কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. ফজলুর রহমান।

Advertisement

সভায় সিপিবির নেতারা বলেন, করোনা-মহাসংকটকালেও বকেয়া বেতনের জন্য গার্মেন্ট-শ্রমিকদের রাজপথে নেমে আসতে হচ্ছে। আবার শ্রমিক ছাঁটাই, গার্মেন্টস লে-অফ চলছে। শ্রমিকদের জীবন নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ করতে হবে। শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে। গার্মেন্টসহ বিভিন্ন বেসরকারি কারখানা-প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের তিনমাস সবেতন ছুটি দিতে হবে। এ বাবদ ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হবে। এই অর্থ গার্মেন্টসসহ শ্রমিক-কর্মচারীদের ব্যাংক-অ্যাকাউন্ট অথবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

নেতারা আরও বলেন, মাস্ক-পিপিইসহ বিভিন্ন চিকিৎসা-সামগ্রী তৈরিসহ জরুরি প্রয়োজনে কোনো কোনো গার্মেন্ট চালু রাখার প্রয়োজন রয়েছে। সেক্ষেত্রে কোন কোন গার্মেন্ট চালু রাখতে হবে, তা ঠিক করতে হবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে; মালিক ও আমলাদের সুবিধামতো নয়। জরুরি প্রয়োজনে চালু রাখা গার্মেন্টে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে চালু গার্মেন্টে শ্রমিকদের থাকা ও খাওয়া, যাতায়াত, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করার উপযুক্ত ব্যবস্থা, মাস্কসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য-সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান, স্যানিটাইজেশন ইত্যাদি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এ সময়কালে শ্রমিক ছাঁটাই, লে-অফ করা যাবে না।

এফএইচএস/এসআর/জেআইএম

Advertisement