জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের শিশু কার্ডিওলজি বিভাগ লকডাউন হচ্ছে। হাসপাতালের শিশু কার্ডিওলজি বিভাগের তিন নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ১৩ বছরের জিহাদ নামে এক রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ ধরা পড়লে কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
Advertisement
চিকিৎসকরা বলছেন, জিহাদের করোনার কোনো উপসর্গ ছিল না। সন্দেহবশত নমুনা পরীক্ষা করলে তার করোনা শনাক্ত হয়। শিশুটির মা তার সঙ্গে ছিলেন বলে জানান চিকিৎসকরা।
এছাড়া শিশু কার্ডিওলজি বিভাগে নাজমুল উম্মে জাকিয়া নামে একজন সহকারী অধ্যাপকের করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। ফলে কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কার্ডিওলজি বিভাগের আউটডোর ও ইনডোরে চিকিৎসাধীন কয়েকজন চিকিৎসকের করোনাভাইরাস সন্দেহে নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটতে পাঠানো হয়েছে।
এমতাবস্থায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশু কার্ডিওলজি বিভাগ আপাতত লকডাউন করে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসক নার্স ও অন্যান্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
Advertisement
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বিভাগের একাধিক চিকিৎসক জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান। শিশু কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসাধীন একজন সিনিয়র চিকিৎসক জানান, শিশু কার্ডিওলজি বিভাগের রোগীদের চিকিৎসাসেবা যেন ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য তারা এতদিন আউটডোর ও ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি রেখে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন।
গত সপ্তাহে একজন শিশু আউটডোরে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। আজ তারা খবর পেয়েছেন ওই শিশুটির নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে দোয়া প্রার্থনা করে বলেন, আগামীকাল নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেবে। জানি না করোনা আক্রান্ত হয়েছে কিনা।
তিনি বলেন, কোনোপ্রকার উপসর্গ ছাড়া করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় তারা ভীত হয়ে পড়েছেন। ইতোমধ্যেই হাসপাতালে নার্সিং সুপারভাইজার, একজন নার্স ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে তিনি জানান।
এমইউ/এমআরএম
Advertisement