চার মাসের বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজশাহী চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীরা বিক্ষোভ করেছেন। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে জারি থাকা লকডাউন ভেঙে সোমবার (২৭ এপ্রিল) সকালে চিনিকল প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তারা।
Advertisement
শ্রমিকরা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসুরক্ষা ছাড়াই চিনিকল কর্তৃপক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীদের কাজে যোগদানের জন্য ডাকেন। কিন্তু এ ব্যাপারে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা করা হয়নি। শ্রমিকদের চার মাসের বেতন বকেয়া। এ অবস্থায় কাজে যোগ না দিয়ে বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। ঘণ্টাব্যাপী এ বিক্ষোভে আখের পাওনা টাকার দাবিতে কিছু চাষিও যোগ দেন। পরে শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
জানা গেছে, চিনিকলে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারী ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বেতন না পেয়ে আর্থিক সঙ্কটে দিন কাটাচ্ছেন। ঠিকমতো বাজার না করতে পেরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মজিবর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুনতাজ আলী জানান, এমনিতেই বেতন-ভাতা না পেয়ে আর্থিক সঙ্কটের কারণে শ্রমিক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আবার কাজে যোগদানের বিষয়ে শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেনি কর্তৃপক্ষ। এতে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হন। পরে তারা কাজে যোগ না দিয়েই চলে যান।
Advertisement
রাজশাহী চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম সেলিম বলেন, চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সদর দফতর থেকে একটি চিঠি এসেছে। যেখানে সীমিত আকারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অফিসের কাজের বিষয়ে বলা হয়েছে। মিল-কারখানার কিছু যন্ত্রপাতি আছে; যেগুলোর প্রতিনিয়ত যত্ন নিতে হয়। কর্মচারীরা না আসলে ওসব যন্ত্র নষ্ট হবে। তবে তিনি স্বীকার করেন কাজে যোগদানের কথা বললেও তাদেরকে করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় স্বাস্থ্যসুরক্ষার সরঞ্জামাদি দেয়া সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, মিলে কর্মরত শ্রমিকরা বেতন না পাওয়ায় অনেক কষ্টে দিন যাপন করছেন। বেতন-ভাতার বিষয়ে সদর দফতরে জানানো হয়েছে। চিনি বিক্রি করে বেতন-ভাতা দেয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে। চিনি বিক্রির টাকায় বেতন-ভাতা ও আখের মূল্য পরিশোধ করা হবে।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম/এমএস
Advertisement