করোনাভাইরাসের কারণে সবকিছুই বদলে গেছে। ব্যতিক্রম নয় আপনার সন্তানের পড়াশোনাও। আগে যেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ক্লাস করতে হতো, এখন সবটুকু পড়াশোনা বাড়িতেই। শিক্ষক-শিক্ষিকা আর বন্ধুবেষ্টিত পরিবেশটা সে পাচ্ছে না। এখানে সাহায্যকারী হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে আপনাকেই। এই সময়েও তার পড়ার অভ্যাসটা ধরে রাখতে সাহায্য করুন।
Advertisement
এখনকার শিশুদের হয়তো অনলাইন ক্লাসের অভিজ্ঞতা তার ছিল না। তবে অনলাইন বিষয়টা সম্পর্কে বেশিরভাগ শিশুই জানে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে আপনার সন্তান যাতে অনলাইন ক্লাস করে, সেদিকে প্রাথমিক ভাবে লক্ষ্য রাখুন।
অনলাইন ক্লাসে শিক্ষক, শিক্ষিকাদের সঙ্গে কানেক্ট করতে, তাদের কথা বুঝতে বা নোট নিতে যদি কোনো সমস্যা হয়, সেখানে সন্তানকে সাহায্য করুন।
শুধু পড়াশোনা নয়। তার বাইরেও অনলাইনে একটা বিশাল জগৎ রয়েছে। সেটা সন্তানকে চিনতে শেখান। ধরুন, খুব সাধারণ কোনো বিষয়ে আপনার সন্তানের মধ্যে কোনো প্রশ্ন বা কৌতূহল তৈরি হলোল, সেটার উত্তর নিজেকেই অনলাইন সার্চ করে খুঁজে বের করতে উৎসাহ দিন।
Advertisement
হাতে নিয়ে বই পড়ার আলাদা আনন্দ রয়েছে ঠিকই। কিন্তু অনলাইন বই পড়ার অভ্যাসও ভালো। এই সময়ে আপনার সন্তানকে অনলাইন বই পড়তে উৎসাহ দিন।
নিজের চারপাশের খবর সম্পর্কে আপডেট থাকা যেকোনো বয়সে জরুরি। হয়তো এই মুহূর্তে আপনার বাড়িতে খবরের কাগজ পৌঁছাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে আপনার সন্তানকে অনলাইন খবর পড়তে শেখান।
স্কুলের কোনো প্রজেক্টের ডিজাইন যদি আপনার সন্তান অনলাইন করতে চায়, সেখানে সাহায্য করুন।
গান, নাচ, আঁকা, আবৃত্তির মতো বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্বজুড়ে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা থাকে। পড়াশোনার পাশাপাশি যে কোনোরকম অনলাইন ক্লাস করাতে সন্তানকে উৎসাহ দিতে পারেন।
Advertisement
এডিট হোক বা ক্যামেরা, এই ধরনের টেকনিক্যাল ফিল্ডে প্রচুর অনলাইন কোর্স রয়েছে। আপনার সন্তানের সেসবে উৎসাহ থাকলে এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে কোনো অনলাইন কোর্স করাতে পারেন।
এই মুহূর্তে গৃহবন্দি অবস্থায় আপনি তো বটেই, আপনার সন্তানকেও ইতিবাচক ভাবতে শেখান। ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে কতটা সমৃদ্ধ হওয়া যায়, সেই পথগুলোর সন্ধান দিতে পারেন। সব মিলিয়ে ব্যস্ত থাকতে বলুন।
এইচএন/পিআর