করোনাভাইরাস মহামারিতে সাম্প্রতিক অচলাবস্থায় ভুক্তভোগী যাত্রী ও ট্র্যাভেল পার্টনারদের রিফান্ড (টিকিটের টাকা ফেরত) প্রক্রিয়া তরান্বিত করার জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এমিরেটস এয়ারলাইন্স। এজন্য অতিরিক্ত লোকবল নিয়োগ করাসহ রিফান্ড পদ্ধতির পুনর্গঠন করেছে দুবাইভিত্তিক এই বিমান সংস্থা।
Advertisement
সোমবার (২৭ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এমিরেটস বাংলাদেশ।
এতে বলা হয়, এমিরেটসে সারাবিশ্বে বর্তমানে প্রায় পাঁচ লাখ রিফান্ড আবেদন জমা পড়েছে। করোনা মহামারির পূর্বে এমিরেটসকে প্রতিমাসে গড়ে ৩৫ হাজার রিফান্ড আবেদন নিস্পত্তি করতে হতো, যার সংখ্যা বর্তমানে মাসে ১ লাখ ৫০ হাজারে গিয়ে ঠেকেছে। এয়ারলাইন্সটি আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে সকল আবেদন নিষ্পত্তির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
এমিরেটস প্রেসিডেন্ট টিম ক্লার্ক বলেন, ‘অন্যান্য এয়ারলাইন্সের মতো আমরাও এক কঠিন সময় অতিক্রম করছি। রিফান্ডের জন্য আমাদের নগদ রিজার্ভে হাত দিতে হচ্ছে। এটা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। সকল গ্রাহকদের এই মর্মে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমরা সব রিফান্ড আবেদন যথাসম্ভব দ্রুততার সঙ্গে নিস্পত্তি করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’
Advertisement
ফ্লাইট বাতিলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের তিনটা অপশন প্রদান করছে এমিরেটস। যার মধ্যে রয়েছে টিকিটের মেয়াদ ২৪ মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি, অব্যবহৃত টিকিটের পরিবর্তে ট্র্যাভেল ভাউচার এবং পূর্ণ রিফান্ড।
এমিরেটস ওয়েবসাইটে একটি অনলাইন ফরম পূরণ করেই যাত্রীরা ট্র্যাভেল ভাউচার বা রিফান্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এআর/এসআর/পিআর
Advertisement