মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে করোনার ভয়াবহতায় সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত হয়েছে ইরান। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোর চেয়ে ইরানেই করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি।
Advertisement
এদিকে, যেসব এলাকা করোনামুক্ত হয়েছে সেসব এলাকার মসজিদ খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। ইতোমধ্যেই দেশটির বেশ কিছু এলাকায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যে নেমে এসেছে।
প্রেসিডেন্সির ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতি অনুযায়ী, দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন এলাকাকে তিন ভাগে ভাগ করা হবে।
সাদা, হলুদ এবং লাল এই তিনটি ভাগে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলকে বিভক্ত করা হবে। যেসব এলাকা সাদা রংয়ের আওতায় পড়বে সেগুলোর মসজিদগুলো খুলে দেওয়া হবে।
Advertisement
ওই বিবৃতি অনুযায়ী, খুলে দেওয়া মসজিদগুলোতে পুণরায় জুমার নামাজ শুরু হবে। অর্থাৎ মুসল্লিরা আবারও মসজিদগুলোতে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় ইরানের বিভিন্ন স্থানের মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মসজিদগুলোতে শুধু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় আজান দেওয়া হলেও নামাজের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
শুধু ইরান নয়, করোনার কারণে বিশ্বের প্রায় সব স্থানেই মসজিদগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে সম্প্রতি সৌদির প্রধান দুই মসজিদে তারাবিহ আদায়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ইরানে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার ৪৮১। অপরদিকে মারা গেছে ৫ হাজার ৭১০ জন। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৬৯ হাজার ৬৫৭ জন। এখনও গুরুতর অবস্থায় আছে ৩ হাজার ৭৯ জন।
Advertisement
দেশটিতে গতকালের হিসাব অনুযায়ী, নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ১৩ এবং মারা গেছে ৬০ জন। তার আগের দিনের হিসাব অনুযায়ী, নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ১৩৪ এবং মৃত্যু হয়েছে ৭৬ জনের।
টিটিএন/জেআইএম