ধর্ম

রমজানে এই প্রথম আমেরিকার মিনেসোটায় মাইকে আজান

আমেরিকার একটি বড় শহর মিনেসোটা। রমজান উপলক্ষে এ শহরে মাইকে আজান প্রচার করে নতুন ‘ইতিহাস’ সৃষ্টি করলো। রমজান উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সেখানের দার আল-হিজরা মসজিদের ছাদে থাকা স্পিকারের মাধ্যমে এই আজান দেয়া হয়। এর আগে এভাবে কেউ আজান দিতে দেখেনি।

Advertisement

মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়ার অনেক দেশেই প্রতিদিন ৫ বার নামাজের জন্য উচ্চ আওয়াজে মাইকে আজান দেয়া হয়। এ আজান দেয়া মুসলিম দেশগুলোর জন্য স্বাভাবিক হলেও যুক্তরাষ্ট্র এবং পাশ্চাত্যের অধিকাংশ দেশে মাইকে এভাবে আজান হয় না বললেই চলে। বরং সেখানে অভ্যন্তরীণ ভাবে বা বদ্ধ পরিবেশে আজান দেয়া হয়।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এমনিতেই বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সব মসজিদেও নামাজ আদায় বন্ধ রয়েছে। মুসলিমদের জন্য সবচেয়ে পবিত্র ও বরকতময় মাস রমজানে মসজিদে এসে নামাজ আদায় বন্ধ রয়েছে। এমনকি শুক্রবার জুমআর নামাজ আদায় করাও নিষেধ।

এমন পরিস্থিতিতে মাসজুড়ে প্রতিদিন পাঁচবার মসজিদের স্পিকার থেকে আজান শোনার মাধ্যমে ওই এলাকায় থাকা হাজারো মুসলিম নিজেদের মধ্যে থাকা ভ্রাতৃত্ব বোধকে অনুভব করবেন বলে জানান মিনেসোটার ‘দার-আল-হিজরা’ মসজিদের ইমাম ও পরিচালনা পরিষদের সদস্য আব্দিস সালেম আদম।

Advertisement

কোনো কোনো ক্ষেত্রে শহর থেকে দূরবর্তী স্থানে ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করলে সেখানেও অনুষ্ঠান চলকালে নামাজের পূর্বে আজান দেয়া হয় স্পিকারে। কিন্তু পাশ্চাত্যের এই দেশগুলোর কোনো গুরুত্বপূর্ণ শহরে এভাবে আজান দিতে দেখেনি কেউ।

ইমাম আব্দিস সালেম আদম বলেন, এ শহরে রমজানে আজান দেয়ার বিষয়টি আমাদের জন্য বেশ উৎসাহের। অনেকে এ বিষয়টিকে ঐতিহাসিক বলছেন। হয়ত তারা তাদের জীবদ্দশায় এমন কিছু দেখতে পাবে বলে আশাই করেনি। মসজিদের মাইক কিংবা স্পিকারে নামাজের জন্য আজান দিলে তা কয়েক হাজার মানুষ শুনতে পাবে।

এ প্রসঙ্গে আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন কাউন্সিল (সিএআইআর) মিনেসোটার নির্বাহী পরিচালক জিলানি হুসেইস জানান, মিনেপলিসের সেডার-রিভারসাইডের নিকটবর্তী অঞ্চলে এই আজান শোনা যাবে।

গত বেশ কয়েক বছর ধরেই রমজানে এভাবে আজান দেয়ার বিষয়টি ভাবা হচ্ছিল। চলতি বছর করোনা ভাইরাসের প্রভাবে মসজিদগুলোতে যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেলে অন্ততপক্ষে কিছু করার মাধ্যমে মানুষকে মসজিদের আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখতেই এ ব্যবস্থা। আর সেই চাওয়া থেকেই এই মসজিদে স্পিকারে আজান প্রচার।

Advertisement

তবে এই আজান শুনে কেউ মসজিদে যাবে না। পরস্পর পরস্পরকে দেখতে না পেলেও এই আজানের মাধ্যমে আধ্যাত্মিকভাবে কমিউনিটির সবাই কাছাকাছি থাকবে বলে জানান তিনি। সূত্র আল জাজিরা।

এমএমএস/এমএস