প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিলে সব কর্মকতা-কর্মচারীর একদিনের বেতন দেবে মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দফতর ও সংস্থা।
Advertisement
রোববার সচিবালয়ে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটির পর সীমিত পরিসরে অফিসের প্রথম কার্যদিবসে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। মন্ত্রণালয়, দফতর ও সংস্থার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয় সভায়। এ ছাড়া চলমান প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং মন্ত্রণালয়, দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে অবস্থান ও জরুরি প্রয়োজনে অফিসে উপস্থিত হয়ে দাফতরিক কাজ করার সিদ্ধান্ত হয় সভায়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন ও দফতর-সংস্থার প্রধানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
সভায় প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ভিজিডি (ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট) কার্যক্রমের আওতায় ১০ লাখ ৪০ হাজার দুস্থ- অসহায় নারীকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে। শহর অঞ্চলে ২ লাখ ৭৫ হাজার কর্মজীবী দরিদ্র মাকে ল্যাকটেটিং মা ভাতা ও পল্লী অঞ্চলের ৭ লাখ ৭০ হাজার দরিদ্র মাকে মাতৃত্বকালীন ভাতা দিচ্ছে।
Advertisement
তিনি বলেন, সমাজের দুস্থ নারী ও শিশুদের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরিস্থিতিতে সামাজিক নিরাপত্তামূলক এসব কার্যক্রমের সুবিধাভোগীর সংখ্যা পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করা এবং নারী ও শিশুর উন্নয়নে চলমান সকল প্রকল্পের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। নারী ও শিশুসহ সমাজের অসহায় মানুষের কাছে সরকারের সাহায্য পৌঁছে দিতে হবে। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও স্বামী পরিত্যক্ত ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার মাধ্যমে সরকার এক কোটি মানুষকে বিভিন্ন সহায়তা দিচ্ছে। একজন মানুষও যেন অনাহারে অধর্হারে না থাকে সরকার সে লক্ষে কাজ করছে।
এমইউএইচ/জেডএ/জেআইএম
Advertisement