আন্তর্জাতিক

তুর্কি-সাইপ্রাসে এক সপ্তাহে মেলেনি করোনা রোগী

মো. মাহাফুজুল হক, সাইপ্রাস

Advertisement

সারাবিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাস ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। ভাইরাসটি প্রকট আকার ধারণ করেছে ইউরোপ আমেরিকায়। দিনেদিনে এর তেজ যেন আরও বাড়ছে। এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর রূপ নিয়েছে তুরস্ক এবং ইরান।

নর্থ-সাইপ্রাসের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলী পিলি বলেছেন, গত সপ্তাহে ২ হাজার ৮৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কারো শরীরেই করোনাভাইরাস পজিটিভ মেলেনি।

প্রথম শনাক্ত হয় এক জার্মান পর্যটকের শরীর থেকে। তখন থেকে মোট ৮৮ হাজার ৪৩৩ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে, যার মধ্যে ১০৮ জনের করোনা পজিটিভের খবর পাওয়া গেছে।

Advertisement

তুরস্কের এমন ভয়াবহ অবস্থা হলেও অন্যদিকে উল্টোপথে হাঁটছে দেশটির অধ্যুষিত দেশ নর্থ সাইপ্রাস যেটাকে তুর্কি সাইপ্রাস বলা হয়। দেশটি গ্রিক সাইপ্রাসের সাথে লাগানো। এটি ১৯৭৪ সালে গ্রিক সাইপ্রাস থেকে যুদ্ধ করে ছিনিয়ে নিয়েছিল তুরস্ক। তুর্কির সাংবিধানিক নিয়মেই দেশটি পরিচালনা করা হয়। দেশটিতে বসবাসরত প্রায় ৫ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ৪ লাখ স্থানীয় তুর্কিশ রয়েছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, তুরস্কে এই পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা পাওয়া যায়। এর মধ্যে গতকাল শনিবার একদিনেই আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার। মৃত্যুবরণ করেছে প্রায় ২ হাজার ৭শ জন। যার মধ্যে শনিবার একদিনেই ১০৬ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে মাত্র সাড়ে পঁচিশ হাজার।

আক্রান্তের সংখ্যায় এশিয়ার প্রথম অবস্থানে রয়েছে তুরস্ক। সেইসাথে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, ইউকের পরেই তুর্কির অবস্থান। এশিয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইরান। যার আক্রান্ত সংখ্যা ৮৯ হাজার ৩০০ এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৫৬৫০ ও সুস্থ হয়েছে ৬৮ হাজার।

সুস্থতার হারও সবচেয়ে ভালো নর্থ সাইপ্রাসে। ১০৮ জনের মধ্যে ৮৭ জনেই সুস্থ হয়ে গিয়েছে। মৃত্যুবরণ করেছে মাত্র ৪ জন। দেশটিতে ১৫ মার্চ থেকে চলছে লকডাউন। এর মেয়াদ বাড়িয়ে এপ্রিলের ৩০ তারিখ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। কঠোর ব্যবস্থা কার্যকর করেছে দেশটির সরকার। স্কুল, কলেজ, পাবলিক অফিস এবং বেশিরভাগ ব্যবসা-বাণিজ্য স্থগিত করেছে, আংশিক কারফিউ এবং নৌ-সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত নাগরিককে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে এবং মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য স্বল্প সময়ে বাইরে যেতে পারবে।

Advertisement

এমআরএম/জেআইএম