কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার খাদ্য ঘাটতি নিয়েই ক্ষমতায় এসেছে। তখন অনেকে অনেক কিছু বলেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের আমলে একটা পিপড়াও না খেয়ে মরেনি। বরং খাদ্য ঘাটতি পূরণ করে উদ্বৃত্ত করা হয়েছে।বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৫ উপলক্ষে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেট খামারবাড়িস্থ ‘বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচারাল রিসার্স কাউন্সিল’ (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে `গ্রামীণ দারিদ্র বিমোচন ও সামাজিক সুরক্ষায় কৃষি` বিষয়ক প্রতিপাদ্যের এক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।মতিয়া চৌধুরী বলেন, সামাজিক সুরক্ষা হলো মানুষের নিশ্চিন্ত জীবন, সেখানে কোনো অস্থিরতা থাকবে না। গ্রামীণ এলাকার উৎপাদিত পণ্য আমাদের ভোগ্য পণ্যের যোগানদাতা। পেটে যদি ক্ষুধা থাকে তাহলে মানুষ অস্থির হয়, হানাহানি করে। খাবারের অভাব থাকলে কখনো উন্নয়ন আশা করা যায় না। জিডিপি প্রবৃদ্ধি কখনো বাড়ে না। আমরা খাদ্যের অভাব কমিয়েছি। জিডিপি বাড়িয়েছি।আওয়ামী লীগ সরকার সব শ্রেণির মানুষের খাদ্যের অভাব পূরণ করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা খাদ্য ঘাটতি নিয়ে সরকারের ড্রাইভিং সিটে বসেছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে খাদ্য ঘাটতি পূরণ করে আজ উদ্বৃত্ত করছে। এটা এমনি এমনি হয়নি।`প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক প্রাপ্তিকে অর্জন হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পদক বিদেশ থেকে কিনতে পাওয়া যায় না, কেউ এমনি এমনিও দেয় না। এটা অর্জনের বিষয়। সব কোয়ালিটি মেইনটেইন করেই শেখ হাসিনা পদক ছিনিয়ে এনেছেন। কাজ দিয়েই আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনকে বুঝিয়ে দিয়েছি, যে যোগ্য আমরাই।২০০৮ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার সময় দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল ২ লক্ষ ২৬ হাজার টন। আমরা তা পূরণ করেছি। আমরা এখন এশিয়ার বাজার ধরেছি। সামনে ইউরোপের বাজার ধরবো- বলছিলের বেগম মতিয়া চৌধুরী।আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সরকার উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, সরকার কৃষকের গায়ের ঘামের মূল্য বোঝে। কৃষকের পরিশ্রম আর কৃষি মন্ত্রণালয় প্রভাইড করার কারণে বাংলাদেশ আজ এই অবস্থানে আসতে পেরেছে।কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এছাড়া এ সময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেন এমপি, জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার (ফাও) সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি মাইক রবসন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোশাররফ হোসেন, নাছিরুজ্জামান, বেগম ভিকারুন্নেসা, সীডের ডিজি আনোয়ার হোসেন, ডিজি (এক্সটেনশন) হামিদুর রহমান, বিএডিসি’র এমডি (সীড) রওনক মাহমুদ।অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- পটুয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ড. মো. শামসুদ্দীন।জেইউ/আরএস
Advertisement