ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বড় ভাইয়ের সঙ্গে শত্রুতার কারণে প্রতিপক্ষের লোকজন ছোট ভাইয়ের দুই কান কেটে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত মামনু (২২) নামের ওই যুবকে শুক্রবার সকালে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মামুন সদর উপজেলার কাছাইট গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে।আহতের বড় ভাই হুমায়ূন জাগো নিউজকে জানান, গত আট মাস আগে হুমায়ূনের সঙ্গে সদর উপজেলার কাছাইট গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে সাঈদ মিয়ার মোবাইল ফোনের ব্যাটারি নিয়ে বিরোধ ঘটে। সাঈদ মিয়া কাছাইট আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি দোকানে তার মোবাইল ফোন মেরামত করতে দেন। পরে সেখান থেকে সাঈদের মোবাইলের ব্যাটারিটি চুরি হয়ে যায়। এ নিয়ে দোকানির সঙ্গে সাঈদের তর্ক-বিতর্ক হয়। এসময় পাশের দোকানে থাকা হুমায়ূন এসে সাঈদকে থামাতে এলে তার সঙ্গেও তর্কে লিপ্ত হন সাঈদ। এ ঘটনার পর সাঈদ তার লোকজন নিয়ে হুমায়ূনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে পরিবারের সদস্যদেরকে পিটিয়ে আহত করেন। এসব ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় মামলা-পাল্টা মামলা দায়ের করে। তবে সাঈদের দায়েরকৃত মামলায় হুমায়ূনসহ তার পরিবারের পাঁচ সদস্য এক মাসের কারাভোগ করেন। এতেও ক্ষান্ত হননি সাঈদ। কারাগার থেকে বের হয়ে আসার পর হুমায়ূনের উপর প্রতিশোধ নিতে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন সাঈদ। এরই জের ধরে শুক্রবার সকালে হুমায়ূনের ছোট ভাই মামুন ব্রাহ্মণাবড়িয়া জেলা শহরের দিকে আসার পথে কাছাইট গ্রামের পার্শ্ববর্তী কাঞ্চনপুরে সাঈদের সহযোগী মলাই মেম্বারের বাড়ির সামনে আসামাত্র আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সাঈদের সহযোগীরা তার উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। হামলার এক পর্যায়ে মামুনের দুটি কানই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে দেয় হামলাকারীরা। পরে মামুনের পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে জানান, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।আজিজুল আলম সঞ্চয়/এমজেড/পিআর
Advertisement