মাত্র তিনটি ম্যাচ বাকি ছিল পাকিস্তান সুপার লিগের। দুই সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচটি হলেই নির্ধারিত হয়ে যেত শিরোপাজয়ী দল। কিন্তু সেগুলো মাঠে গড়ানোর আগেই করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত করে দেয়া হয়েছে এবারের আসর।
Advertisement
এখন অখণ্ড অবসরে বসে খেলোয়াড় থেকে শুরু করে দলের মালিকরা স্মৃতি রোমন্থন করছেন এবারের পিএসএলের নানান ঘটনার। এই কয়েকদিন আগেই যেমন করাচি কিংসের মালিক জানিয়েছেন, কীভাবে এক মেসেজের মাধ্যমে স্থগিত হয়ে গেল পুরো লিগ?
আর এবার কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরস জানিয়েছেন ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়ের ড্রেসিংরুমে করা অদ্ভুত কাণ্ডের কথা। যদিও রয় সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন সেই অভিযোগ। জানিয়েছেন প্রাকৃতিক কারণে হয়েছিল এমন।
কোয়েটার মালিক নাদিম ওমর বলেছেন, ‘খুব কম মানুষই জানেন, (জেসন) রয় তার সব ব্যাট ভেঙে ফেলেছেন। সংখ্যাটা পাঁচ। ড্রেসিংরুমে হতাশায় নিজের ব্যাট ভেঙে ফেলত সে। আহমেদ শেহজাদের মাধ্যমে আমরা রাওয়ালপিন্ডি থেকে তার জন্য নতুন ব্যাটের ব্যবস্থা করেছিলাম।’
Advertisement
তবে জেসন রয় নিজে জানিয়েছেন, এতগুলো ব্যাট তিনি পাকিস্তান নেনইনি। তার সঙ্গে ছিল ৩-৪টি ব্যাট, যেগুলো সব ভেঙেছে মূলত অতিরিক্ত গরম এবং নেটে বেশি ব্যবহারের কারণে।
ব্যাট ভাঙার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে টুইটারে জেসন রয় লিখেছেন, ‘এটা (কোয়েটা মালিকের অভিযোগ) সত্যি নয়। আমার মোট ৩টা ব্যাট ভেঙেছিল। মূলত অতিরিক্ত গরম এবং নেটে খুব বেশি ব্যবহারের কারণে এমন হয়েছিল। আমি পাকিস্তানে মাত্র ৩-৪টি ব্যাটই নিয়েছিলাম।’
শুধু ব্যাট ভাঙাই নয়, জেসন রয়ের ব্যাপারে আরও এক অভিযোগ করেছিলেন কোয়েটা মালিক নাদিম ওমর। তবে সেগুলোর বিপরীতে কিছু বলেননি ইংলিশ ওপেনার।
নাদিম বলেছেন, ‘জেসন রয় সবসময় বলতো যে সে মাঝ ব্যাটে খেলতে পারছে না। এছাড়া আমার মনে হতো শেন ওয়াটসন এবং জেসন রয় নিজেদের মধ্যে মানিয়ে নিতে পারছিল না। কারণ ওয়াটসন বড় শট খেলতে চাইত এবং জেসন চাইত দৌড়ে বেশি রান নিতে। আমরা তাদের বলেছিলাম নিচের দিকে ব্যাটিং করতে। তবে যথাযথ কারণ দেখিয়ে সেই প্রস্তাবে কেউই রাজি হয়নি।’
Advertisement
এসএএস/পিআর