নাটোরের সিংড়ায় ১০ টাকা কেজির ওএমএসের চাল ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে সিংড়া পৌরসভায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে চাল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
Advertisement
এ সময় তিনি বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে চাল বিতরণের তালিকায় যাদের নাম আছে তাদের হাতে চাল তুলে দেয়া হচ্ছে। কিউআর কোড সম্বলিত ডিজিটাল কার্ড। এ পদ্ধতিতে উপকারভোগিরা কিউআর কোড সম্বলিত ডিজিটাল কার্ড নিয়ে ডিলারের নিকট এলে তা মোবাইলের নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে স্ক্যান করে চাল দেয়া হচ্ছে। এতে একই ব্যক্তি একাধিকবার বা নির্ধারিত পরিমাণের বেশি চাল নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। অন্যদিকে খুব সহজে স্বল্প সময়ে তালিকাভুক্তদের হাতে চাল পৌঁছে যাচ্ছে। আবার সামাজিক দূরত্বও নিশ্চিত হচ্ছে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এই পদ্ধতিতে চাল বিতরণের সফটওয়্যার সেন্ট্রাল ডাটাবেজের মাধ্যমে খাদ্য মন্ত্রণালয়, ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় করা হবে। এছাড়া কোথায় কোন নামে কতটুকু চাল বিতরণ করা হয়েছে তা সংশ্লিষ্ট বিভাগ সার্চ দেয়ামাত্র জানতে পারবে। এতে করে একজনের চাল অন্য কেউ তুলে নিতে পারবে না। ফলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, টাঙ্গাইলের কালিহাতির পর সিংড়া পৌরসভায় শনিবার বিকেলে ১৮’শ ব্যক্তিকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ওএমএসের চাল দেয়া হলো। ক্রমান্বয়ে দেশের ৪৬৫টি উপজেলায় এটি চালু করা হবে। গ্রাম থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে ওএমএসর তালিকা ডিজিটাল পদ্ধতিতে করার ফলে কোন ব্যক্তি কতখানি চাল পেয়েছেন তা সহজেই বুঝা যাবে । এটি উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা মনিটর করবেন। এছাড়াও সেন্ট্রাল ডাটাবেজের মাধ্যমে সারাদেশের তালিকা মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষণ করা হবে।
Advertisement
পলক বলেন, এখন করোনার দুর্যোগ চলছে। এই মহামারি কতদিন চলবে আমরা জানি না। এ কারণে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক কোটি থেকে সোয়া কোটি মানুষকে ওএমএসের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন। এ সকল তালিকা সংরক্ষণের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে চাল বিতরণে সকল অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, কিউআর কোড সম্বলিত ডিজিটাল কার্ড তৈরিতে খরচ খুব সামান্য। মাত্র ৪ থেকে ৫ টাকা খরচে একটি কার্ড উপকারভোগীর হাতে তুলে দেয়া সম্ভব হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ, সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন বানু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রেজাউল করিম রেজা/আরএআর/পিআর
Advertisement