ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামসহ (পিপিই) মহামারি এই করোনার প্রকোপের সময় স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রীর সংকটের কারণে আমরণ অনশনে বসেছেন পাকিস্তানের চিকিৎসকেরা। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
Advertisement
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামরে ঘাটতি থাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে পাকিস্তানের দেড় শতাধিক চিকিৎসক কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাই অনেকে ঝুঁকি নিয়ে এখন রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে আপত্তি করছেন।
পাকিস্তানে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত প্রদেশ পাঞ্জাবের ‘ইয়াং ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন’ এই তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে বেশ কিছু চিকিৎসক প্রাণ হারিয়েছেন। এরমধ্যে ২৬ বছর বয়সী এক চিকিৎসকও রয়েছেন; যিনি অল্প কিছুদিন হলো এই পেশায় যুক্ত হন।
এছাড়া দেশটির সরকারি হাসপাতালের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর আজ শনিবার মারা গেছেন। পাঞ্জাব গ্রান্ড হেলথ অ্যালায়েন্সের প্রধান সালমান হাসিব বলছেন, প্রাথমিকভাবে আনুমানিক ৩০ জন চিকিৎসক ও নার্স পাঞ্জাবে আমরণ অনশনে বসেন।
Advertisement
হাসপাতালে অনশন শুরু করার এসব চিকিৎসক সেখান থেকে বের হয়ে প্রাদেশিক রাজধানী লাহোরে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সরকারি ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর সেখানে তাদের সঙ্গে তাদের আরও অন্তত ২০০ সহকর্মী যোগ দেন।
পাঞ্জাব গ্রান্ড হেলথ অ্যালায়েন্সের প্রধান সালমান হাসিব বলেন, ‘সরকার আমাদের দাবি আর চাহিদার কথা না শোনা পর্যন্ত আমরা থামবো না। তারা ধারাবাহিকভাবে আমাদের দাবি মানতে অস্বীকার করে আসছে। সামনে থেকে ভাইরাসটি প্রতিরোধে কাজ করার পরও আমাদেরই সুরক্ষা নেই তাহেলে দেশের সব মানুষ কতটা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।’
এসএ
Advertisement