রোজার গুরুত্বপূর্ণ দু’টি অংশ হলো সেহরি ও ইফতার। সেহরি খেয়ে রোজা রাখা এবং ইফতার দিয়ে রোজা ভাঙা দু’টিই জরুরি। সারাদিন রোজার শেষে ইফতারে নানাকিছু খেতে আপনার ইচ্ছা করতে পারে। কিন্তু মন চাইলেই সবকিছু খেতে যাবেন না যেন। বরং খেয়াল রাখতে হবে কিছু বিষয়ে। জেনে নিন-
Advertisement
ইফতারে পান করুন স্বাস্থ্যকর শরবত। লেবুর শরবত খেতে পারেন। শরবতের সঙ্গে যোগ করতে পারেন ইসুবগুলের ভুষি। এটি আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে।
ইফতারের যাবতীয় খাবার একত্রে মাখিয়ে খেতে পছন্দ করেন অনেকে। সঙ্গে যোগ করেন পেঁয়াজ-মরিচও। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন যাতে মরিচ ও পেঁয়াজের পরিমাণ বেশি না হয়। কারণ অধিক স্বাদের জন্য বেশি পরিমাণ মরিচ-পেঁয়াজ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
ইফতারে তো অবশ্যই ফল খাবেন। তবে অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফল যেমন কাঁচা আম, আপেল, তেঁতুল, লেবু, বাতাবি লেবু, কামরাঙ্গা ইফতারের শুরুতে না খেয়ে শেষে খাওয়া ভালো। এতে আপনার শরীর চাঙ্গা হয়ে যাবে। প্রথমে এই ফলগুলো খেলে সমস্যা হতে পারে।
Advertisement
সারাদিন না খেয়ে থাকার পর ইফতারে অধিক ভাজা ও তেল সমৃদ্ধ খাবার পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই তেলে ভাজা খাবার কম খাওয়া বা একেবারে না খাওয়াই ভালো।
ইফতারে মশলাদার খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকে অনেকেরই। ইফতারে কম মশলাযুক্ত খাবার খান। অধিক মশলাযুক্ত খাবার পেটে গ্যাস্ট্রিকের কারণে সৃষ্ট ক্ষত বাড়িয়ে তোলে এবং যন্ত্রণা বাড়িয়ে দেয়।
ইফতারের সময় খাওয়ার মাঝে অতিরিক্ত পানি পান থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে হজমে সহায়ক উপাদান সঠিকভাবে নিঃসৃত হবে। খাবারের মাঝে বেশি পানি খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে।
চা-কফির প্রতি আগ্রহ অনেকের একটু বেশিই থাকে। তাই বলে ইফতারে খালি পেটে চা-কফি একদমই খাবেন না। চা-কফি পেটে গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা বাড়িয়ে তুলতে পারে। চা কিংবা কফি খেতে চাইলে ইফতারের ঘণ্টাখানেক পরে খান।
Advertisement
এইচএন/এমকেএইচ