সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা শনাক্ত প্রসূতিকে শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানোর পর সেখান থেকে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে স্থাপিত করোনা আইসোলেশন সেন্টার থেকে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুশান্ত কুমার মহাপাত্র। তিনি জানান, ওই নারীকে দুপুরে হাসপাতালে আনার পর তার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে চিকিৎসকরা তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বর্তমানে সুস্থ আছেন। তার মধ্যে শারীরিক কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি।
তবে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে সেলফ আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হবে। প্রয়োজনে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে।
Advertisement
এর আগে শুক্রবার সকালে ওই নারীকে খাদিমনগর ইউনিয়নের রঙ্গিটিলা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে এয়ারপোর্ট থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে সেখান থেকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে স্থাপিত করোনা আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হয় তাকে।
বৃহস্পতিবার রাতে ওসমানী হাসপাতালের গাইনী বিভাগে চিকিৎসাধীন থাকা ওই নারীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর রাতে তাকে হাসপাতালে না পেয়ে তিনি পালিয়ে গেছেন বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে শুক্রবার সকালে ওই নারীকে উদ্ধারের পর পুলিশ জানতে পারে পালিয়ে নয়, হাসপাতালের গাইনী বিভাগের চিকিৎসকের ছাড়পত্র নিয়েই বাড়ি ফেরেন তিনি।
এর আগে সকালে তাকে ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতথ্য জানান সিলেট মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহদাৎ হোসেন।
সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের রঙ্গিটিলা গ্রামের বাসিন্দা ওই নারী বুধবার ওসমানী হাসপাতালে সন্তান প্রসব করেন। প্রসবের কিছুক্ষণ পরই ওই সন্তান মারা যায়। এরপর ওই নারীর শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ায় তার করোনা পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
Advertisement
ছামির মাহমুদ/এমএএস/পিআর