জাতীয়

বিশ্ব খাদ্য দিবস আজ

আজ ১৬ অক্টোবর, শুক্রবার বিশ্ব খাদ্য দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৫’র প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচন এবং সামাজিক সুরক্ষায় কৃষি’।দিবসটি উপলক্ষে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) সকাল ১১টায় তাদের কলাবাগানস্থ কার্যালয়ে ‘খাদ্য নিরাপত্তা এবং পরিবেশবান্ধব কৃষি’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে ক্ষুধা ও দারিদ্র বিমোচনে আজ জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানা কর্মসূচি পালন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ টেকসই কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পারিবারিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী ও সমৃদ্ধিশালী সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় আরো আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে সকলের প্রতি আহবান জানান। এ জন্য আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতেও সকলকে তিনি পরামর্শ দেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে সমন্বিত কৃষি উদ্যোগ ও আধুনিক বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলে খাদ্যনিরাপত্তা ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি দেশবাসী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কৃষিবান্ধব নীতি ও কৌশলগ্রহণ গ্রহণ এবং তার সফল বাস্তবায়ন করে চলেছি। এর ফলে উৎপাদনবৃদ্ধি, নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা, কৃষিতে ব্যাপক কর্মসংস্থান ও কৃষির বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করে নিরাপদ খাদ্য ও পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করছে।’বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, খাদ্য নিরাপত্তা বলতে জমিতে বীজ বপন ও পর্যাপ্ত ফসল ফলাতে বিশ্বব্যাপি কৃষকদের ক্ষমতায়ন, পশুসম্পদের কার্যকর পরিচর্যা ও মৎস্য আহরণপূর্বক তাদের উৎপাদিত এ সকল খাদ্য যেসব মানুষের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তাদের কাছে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা।এ সংস্থার মতে, বর্তমানে পৃথিবীর ২২টি দেশ খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সাম্প্রতিককালে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট খরা ও বন্যায় অনেক দেশের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে রয়েছে। বছরে পৃথিবীর ১০ থেকে ৩৫ মিলিয়ন হেক্টর আবাদি জমি হ্রাস বিশ্বব্যাপি খাদ্য নিরাপত্তাকে দিন দিন হুমকির মধ্যে ফেলছে।বিশ্বব্যাপি খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) দীর্ঘদিন কাজ করে চলেছে। ১৯৭৯ সালে এ সংস্থার ২০তম সাধারণ সভায় হাঙ্গেরির বিজ্ঞানী ড. পল রোমানি বিশ্বব্যাপি খাদ্য দিবস পালনের প্রস্তাব করেন।তার প্রস্তাবের পর ১৯৮১ সাল থেকে প্রতি বছর খাদ্য ও কৃষি সংস্থার জন্মদিন ১৬ অক্টোবর এই `বিশ্ব খাদ্য দিবস` পালিত হয়ে আসছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) জন্ম ১৯৪৫ সালে।বিএ

Advertisement