লাইফস্টাইল

সারাদিন বাড়িতে, সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে না তো?

লকডাউনের কারণে সারক্ষণ বাড়িতে থাকার সুফল মিলছে কিছু। পরিবারকে সময় দেয়া সম্ভব হচ্ছে আগের থেকে বেশি। স্বামী-স্ত্রী একে অন্যকে বোঝার সময় পাচ্ছেন যথেষ্ট। থাকতে পারছেন কাছাকাছি। কিন্তু সারাক্ষণ একসঙ্গে থাকার সুবাদে খিটিমিটিও যে লাগছে না, তা নয়। সমস্যা আরও বাড়ছে, যখন প্রেমের ভাগ কমে গিয়ে মতের অমিলের ভাগটাই বেশি হয়ে যাচ্ছে।

Advertisement

সত্যি বলতে, এরকম পরিস্থিতিতে বহু দম্পতি আছেন যাদের লকডাউনের দিনগুলো কেটে যাচ্ছে স্রেফ ঝগড়াঝাঁটিতে। তার কারণও রয়েছে। আগে নানান কাজেকর্মে বাড়ির বাইরে বেরোতে হতো, বাড়িতে থাকার সময়টাও ভাগ হয়ে যেত। ফলে পরস্পরের সান্নিধ্যে থাকার সময়টুকুও ছিল সীমাবদ্ধ।

কিন্তু করোনা সংক্রমণ প্রতিহত করার তাগিদে ঘরবন্দি রয়েছেন মানুষ। পুরো সময়টা কাছাকাছি থাকতে বাধ্য হওয়ার দরুন পরস্পরের যে দোষত্রুটিগুলো আগে সহ্য করে বা মেনে নেওয়া যেত, এখন সে সবই আরও প্রকট হয়ে ধরা পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবতে হবে। একসঙ্গে থেকে কীভাবে বিপদ কাটিয়ে ওঠা যায়, সেই ভাবনা ভাবতে হবে।

একটু ভেবে দেখুন সঙ্গীর কোন আচরণগুলো আপনার সবচেয়ে অসহ্য লাগছে? একইভাবে নিজের আচরণগুলো সম্পর্কেও সতর্ক হোন। এবার স্বামীর সঙ্গে একটা দিন খোলামেলা কথা বলুন। নিজের বক্তব্য পরিষ্কার জানান, তার কাছেও জানতে চান। সমস্যাগুলো পরিষ্কার হলে তার সমাধানও পেয়ে যাবেন।

Advertisement

আপনারা দু’জনেই বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করছেন? তা হলে তো নিজেদের আলাদা রুটিন মেনে চলতেই হবে। দু’জনে কথা বলেই এ ব্যাপারটা ঠিক করে নিতে পারেন। এমনকী কাজের বাইরে অবসর কাটানোর সময়টাও যে একসঙ্গে কাটাতে হবে, তা নয়। বই পড়ুন, সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় দিন, সাজগোজে সময় দিন। সবচেয়ে বড় কথা, আগে যেভাবে সময় কাটাতেন, এখনও সেভাবেই থাকুন।

নিজের স্পেস দরকার বলে সঙ্গীর সঙ্গে বাক্যালাপ একেবারে বন্ধ করে দেয়া কাজের কথা নয়। অবসরের পুরো সময়টা ফোন বা নেটফ্লিক্সে কাটিয়ে দেবেন না। দিনের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট সময় স্বামীর সঙ্গে বসে গল্প করুন। তার কথা শুনুন মন দিয়ে। যে বিষয়ে মতের অমিল হওয়ার আশংকা রয়েছে, সে সব বিষয় এড়িয়ে যান। অকারণ ঝামেলা ডেকে আনবেন না।

বিকেলের দিকটায় এক কাপ চা হাতে বাড়ির সবার সঙ্গে জমিয়ে গল্প করুন। পুরোনো অ্যালবাম বের করে আনুন, বাবা-মা বা শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে পুরোনো দিনের গল্প শুনুন। পরিবারের সবার সঙ্গে সম্পর্কের বাঁধন জোরদার হবে। বাড়িতে শিশু থাকলে তাদের সঙ্গে একটু খেলাধুলো করলেও কিন্তু মন ভালো থাকবে।

সংসারের সব কাজের দায়িত্ব নিজের উপর নেবেন না। বরং দু’জনে মিলে ভাগ করে নিন কাজগুলো। রান্নাঘরের কাজ, ঘর সাফসুতরো রাখা, বাসনকোসন পরিষ্কার করার মতো কাজগুলো যদি দু’জনে মিলে ভাগ করে নেন, তা হলে একজনের উপর থেকে চাপ কমবে, লকডাউনের সময়টাও অনেক বেশি উপভোগ্য হয়ে উঠবে।

Advertisement

এইচএন/এমকেএইচ