জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সহজতর করার উপায়-চ্যালেঞ্জ বিষয়ে ওয়েবিনার

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সহজতর করার সম্ভাব্য উপায় ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ক এক ওয়েবিনার (অনলাইন মাধ্যমে সেমিনার) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন ও ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (আইবিসিসিআই)।

এতে অংশ নিয়ে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ শিল্প নেতাদের সাথে কথা বলেন। তিনি জানান, বিগত কয়েক মাসে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং এ বছরের মার্চ মাসে পেট্রাপোল-বেনাপোল দিয়ে ট্রাক আসা-যাওয়ার সংখ্যায় ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গিয়েছে।

রীভা গাঙ্গুলি বলেন, চলমান কোভিড মহামারির কারণে উভয় পক্ষের ব্যবসায়িক সংস্থাগুলি যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সেগুলি মোকাবেলায় সমস্ত অংশীদারদের কাজ করতে হবে।

Advertisement

ওয়েবিনারে ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বর্তমানে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় অস্থায়ী অচলতার মুখোমুখি হলেও আমরা আশাবাদী যে, এই প্রতিকূলতা কাটিয়ে বাণিজ্য আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

তিনি শক্তিশালী বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে আরও সমন্বয়, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জ্ঞান বণ্টনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, ইফাদ গ্রুপ, এসবিআই বাংলাদেশ, ইন্দোফিল এবং সিইএটির শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈশ্বিক বাণিজ্যের নতুন চ্যালেঞ্জ এবং অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে আঞ্চলিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের ধারণা তুলে ধরেন।

হাইকমিশনার আশা প্রকাশ করেন, ভারত-বাংলাদেশের অসাধারণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে তারা শিগগির বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হবেন।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, মহামারি মোকাবিলায় উভয় সরকার একসঙ্গে কাজ করছে এবং দুই দেশই তাদের স্থিতিশীল অর্থনীতি এবং শক্তিশালী ব্যবসায়িক পরিবেশ দিয়ে বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার পাশাপাশি নতুন সুযোগগুলিও চিহ্নিত করতে পারবে।

তিনি উদীয়মান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

গত ১৫ মার্চ সার্ক নেতাদের ভিডিও কনফারেন্সে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা অনুসারে আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্যে ভ্রমণ বিধিনিষেধের প্রভাব এবং বৃহত্তর কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিষয়ে আলোচনা করার জন্য ৮ এপ্রিল সার্ক দেশগুলির ঊর্ধ্বতন বাণিজ্য কর্মকর্তাদের একটি ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।

এইচএ/বিএ