জাতীয়

করোনায় কাজ করা এনজিওর জন্য প্রণোদনার দাবি

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান তাদের সাধ্যমতো সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। তবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশসহ অন্যান্য মানবিক উন্নয়নে কাজ করে এমন বিপুলসংখ্যক এনজিও কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে কাজ করছে, যারা ঋণ কার্যক্রমে জড়িত নয়। তাদের জন্যও বিশেষ প্রণোদনার দাবি জানানো হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহের সমন্বয়কারী সংগঠন ‘এডাব’ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এডাবের সদস্য সংস্থাসমূহ বরাবরের মতো এই দুর্যোগেও সরকারের পাশাপাশি তাদের নিজস্ব অর্থায়নে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক কাজ করছে। এনজিওসমূহ তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ, বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, জীবাণুনাশক স্প্রে ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পরিচালনা করছে এবং নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে মাস্ক, সাবান, স্যানিটাইজার ও সুরক্ষা সরমঞ্জামাদি বিতরণসহ কর্মহীন ও দুস্থ পরিবারের মাঝে প্রতিদিনই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছে। এছাড়া ইতোমধ্যে ত্রাণ সহায়তার অংশ হিসেবে বিভিন্ন জেলায় স্থানীয় প্রশাসনকে আর্থিক ও সামগ্রী সহায়তা অব্যাহতভাবে করে যাচ্ছে।

সেখানে বলা হয়েছে, বর্তমানে দাতা দেশগুলোর অবস্থাও করোনার কারণে নাজুক, তাই এক্ষেত্রে বিদেশি সহায়তাও লক্ষণীয় নয়। অন্যদিকে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে জড়িত এনজিওদের ঋণ কার্যক্রমও বন্ধ তাই তারাও তহবিল সংকটে ভুগছে। সম্প্রতি সদাশয় সরকার এ খাতের জন্যও প্রণোদনা ঘোষণা করায় এ খাতে যথেষ্ট আশার সঞ্চার হয়েছে।

Advertisement

কোভিড-১৯ একটি বৈশ্বিক সমস্যা তাই সবাই মিলেই এ সমস্যা সমাধানে কাজ করতে হবে। এডাব মনে করে, এই দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের সহায়তা ও প্রণোদনা সহযোগিতা মাঠ পর্যায়ে দরিদ্রদের মাঝে পৌঁছে দিতে এনজিওসমূহ একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে এবং এনজিওসমূহের সেই মনোবৃত্তি ও স্বেচ্ছাসেবক কর্মীও রয়েছে। তাই সরকারি-বেসরকারি সকল পর্যায়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করলে এই দুর্যোগ মোকাবিলা কঠিন হবে না।

এমইউ/এফআর/পিআর