জাতীয়

মে’র শুরুতেই প্রস্তুত হবে ২০ হাজার জনের কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা

আগামী মাস অর্থাৎ মে’র প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ২০ হাজার প্রবাসফেরত কর্মীর জন্য কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল মাহফুজুর রহমান।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনাভাইরাসে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য করণীয় বিষয়ে চতুর্থ জরুরি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ কথা জানান তিনি।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহারিয়ার আলম প্রমুখ।

সভায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মীদের ফেরত আনার অনুরোধ আসছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিধিবিধান অনুযায়ী দ্বিপাক্ষিক অথবা বহুপাক্ষিক আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশেষ করে, কলম্বো প্রসেস ও আবুধাবি ডায়ালগ ফোরামের সদস্য দেশসমূহের সঙ্গে শিগগিরই একটি বৈঠক করা হবে।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশফেরত প্রবাসী কর্মীদের জন্য কোয়ারেন্টাইন ক্যাপাসিটি আরও বাড়াতে হবে। যেসব প্রবাসী কর্মী স্বাস্থ্য সনদ নিয়ে দেশে আসছে, তাদেরকেও নিয়মিত মনিটরিংয়ের আওতায় রাখতে হবে।’

এর প্রেক্ষিতে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ২০ হাজার প্রবাসফেরত কর্মীর কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল মাহফুজুর রহমান এছাড়া তিনি করোনা পরিস্থিতিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিভিল প্রশাসনকে সবসময় সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।

মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, ‘সভায় বিদেশফেরত প্রবাসী কর্মীরা যেন দেশে চলমান ত্রাণ সহায়তা পায় সে বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে একটি নির্দেশনা জারি করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

সভায় মন্ত্রী বিদেশেফেরত কর্মীদের জন্য সুষ্ঠুভাবে কোয়ারেন্টাইন আয়োজন করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান। মন্ত্রী বিদেশ প্রত্যাগতদের জন্য প্রয়োজনীয় ফিল্ড হসপিটাল করার জন্য সেনাবাহিনীকে আহ্বান জানান।

Advertisement

এছাড়াও তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী যদি দেশের চলমান খাদ্যশস্য ব্যবস্থাপনায় কৃষককে পরিবহন সুবিধা দেন, তাহলে কৃষকও ফসলের ন্যায্যমূল্য পাবে এবং দেশেও খাদ্য সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।’

সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত সভার যে সিদ্ধান্তসমূহ গ্রহণ করা হয়েছিল সেগুলোর বাস্তবায়নের হার অত্যন্ত সন্তোষজনক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং দফতরসমূহের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এ সকল কার্যক্রম সুচারুরূপে সম্পাদন করে আসছে।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আকরাম হোসেন, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শামছুল আলম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান প্রমুখ।

জেপি/এফআর/এমকেএইচ