দেশজুড়ে

হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক, রিপোর্ট এলো করোনা পজিটিভ

কুষ্টিয়ায় এবার সরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসকসহ দুইজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত দুইজনই পুরুষ। আক্রান্ত ওই চিকিৎসক (২৮) কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। অপর আক্রান্ত ব্যক্তি (৮০) কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চর মহেন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা।

Advertisement

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, করোনার উপসর্গ থাকায় গত ২১ এপ্রিল তাদের দুজনের শরীর থেকে নুমানা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার জন্য পরদিন ২২ এপ্রিল সকালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে তাদের দুজনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এ নিয়ে জেলায় গত দুদিনে পাঁচজনের করোনাভারাস শনাক্ত হলো।

ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, শরীরে তেমন উপসর্গ দেখা না দেয়ায় ওই মেডিকেল অফিসার প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার সকালেও হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর মধ্যে তার করোনাভাইরাস শনাক্তের সংবাদ আসে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়াও তিনি ভেড়ামারা শহরের সবচেয়ে বড় প্রাইভেট হাসপাতাল সনো হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে সনো লজিস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। স্ত্রী-সন্তান ঢাকায় থাকেন। তিনি একাই ভেড়ামারা শহরের দক্ষিণ রেল গেট এলাকার বাসা ভাড়া থাকেন।

এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এই চিকিৎসকের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় এখানে কর্মরত ১২ জন চিকিৎসক, ১২ জন নার্সসহ প্রায় ৬৫ জন স্টাফের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

Advertisement

সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলা জানান, ওই চিকিৎসকের করোনা শনাক্ত হওয়ায় তার সংস্পর্শে আসা বেশ কয়েকজন চিকিৎসকসহ স্টাফদের আইসোলেশনে পাঠানো হতে পারে।

ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল মারুফ জানান, ওই চিকিৎসককে তার বাড়িতে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে এবং বাড়িটিও লকডাউন করা হয়েছে। তার সংস্পর্শে আসা চিকিৎসক ও স্টাফদের শনাক্ত করে আইসোলেনে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি জানান।

কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আকুল উদ্দিন জানান, করেনায় আক্রান্ত বৃদ্ধের ছেলে ও পুত্রবধূ গত এক সপ্তাহ আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রামের বাড়ি কুমারখালীর চর মহেন্দ্রপুর আসেন। তবে এখন পর্যন্ত ওই পরিবারের অন্য কোনো সদস্যর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। বৃদ্ধের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর পরিবারের অন্য সদস্যদেরও পরীক্ষা করা হবে বলে তিনি জানান। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আক্রান্ত ওই ব্যক্তির বাড়িসহ আশপাশের এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

আল-মামুন সাগর/আরএআর/জেআইএম

Advertisement