উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে পুলিশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বুধবার (২২ এপ্রিল) পর্যন্ত সারাদেশে মোট ২১৭ জন পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। পুলিশ সদস্যরা যাতে আতঙ্কিত না হয়, সেজন্য তাদের মনোবল অক্ষুণ্ণ রাখতে সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
Advertisement
করোনা আক্রান্ত পুলিশের চিকিৎসায় ইতোমধ্যে তিনটি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। এই হাসপাতালগুলোতে মোট ৬০০ জন পুলিশ একসঙ্গে চিকিৎসা নিতে পারবেন। বুধবার এগুলো চূড়ান্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতর জানায়, ইতোমধ্যে ঢাকার রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের। বাকি দুটি হচ্ছে ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল ও সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এই দুই হাসপাতালে মোট ৪৫০টি বেড রয়েছে।
আইজিপি বেনজীর আহমেদ বলেছেন, পুলিশ সদস্যদেরকে সুরক্ষাসামগ্রী দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখানো যাবে না। ইতোমধ্যে সুরক্ষাসামগ্রী ক্রয়ের জন্য বিভিন্ন ইউনিটকে পর্যাপ্ত আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের জন্য ভিটামিন সি, ডি এবং জিংক ট্যাবলেট কেনা হচ্ছে। শিগগিরই তা বিভিন্ন ইউনিটে পাঠানো হবে।
Advertisement
করোনাভাইরাস সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি নিজেদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে জানিয়ে আইজিপি বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশের অন্যান্য হাসপাতালগুলোতেও পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এছাড়া দেশের পাঁচটি বিভাগে চিকিৎসার আয়োজন করা হচ্ছে। আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের ঢাকায় যে চিকিৎসা দেয়া হবে, একই চিকিৎসা বিভাগীয় হাসপাতালেও দেয়া হবে। তাদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পুলিশ সদর দফতরের তথ্যমতে, আক্রান্ত ২১৭ জনের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ১১৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ জন। মোট আক্রান্ত ১১৭ জনের কেউ এখনও সুস্থ নন। তাদের মধ্যে রয়েছেন চারজন সিভিল স্টাফ।
গত ৮ মার্চের পর থেকে মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) পর্যন্ত সময়ে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয় ৭৭৭ জনকে। ৩৯ জন ছাড়পত্র পেলেও এখনও কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৬১৪ জন। এর মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে ২৫৯ জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১৬৩ জন। আইসোলেশনে রয়েছেন ৪৬ জন। ছাড়পত্র পেয়েছেন পাঁচজন।
এআর/এসআর/এমএস
Advertisement