গাজীপুরের শ্রীপুরে কৃষকের ক্ষেতের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে তা মাড়াই করে দিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। করোনাভাইরাসের সংক্রমন রোধে গাজীপুরে চলা লকডাউনে অনেকটাই বিপর্যস্ত জেলার স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় সারাদেশের মতো গাজীপুরের শ্রীপুরেও বোরো ধান কাটা মৌসুম শুরু হয়েছে। ধান কাটতে শ্রমিক না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন এখানকার কৃষকরা।
Advertisement
শ্রমিকের অভাবে ক্ষেতের পাকা ধান কাটতে না পারায় উপজেলার মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম, ওয়াদুদ মিয়া ও আল আমিনসহ অনেকেই বিপাকে পড়েছেন। কৃষকের দুর্ভোগের কথা শুনে নেতাকর্মীদের নিয়ে কৃষকের সাত বিঘা জমির ধান কেটে ও বাড়ি পৌঁছে দিয়ে মাড়াই করে দিয়েছেন গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া। উপজেলার মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এবার তিন বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছিলাম। ফলনও বেশ ভালোই পেয়েছিলাম। করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন থাকায় উত্তরাঞ্চলের কোনো শ্রমিক শ্রীপুর আসতে পারেনি। এতে ধান কাটা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছিলাম। শ্রমিক না পাওয়ার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জেনে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া আমাকে আশস্ত করেন এবং নেতাকর্মী নিয়ে ধান কেটে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। প্রতিশ্রুতি মোতাবেক তিনিসহ তার প্রায় একশ নেতাকর্মী আমার তিন বিঘা জমির বোরো ধান কেটে দেন। এ সময় কৃষক আল আমিনের একবিঘা ও ওয়াদুদ মিয়ার পৌনে তিন বিঘা জমিসহ সাত বিঘা জমির ধান কাটেন এবং বাড়ি পৌঁছে মাড়াই করে দেন।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া জানান, কেন্দ্রীয় নির্দেশে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১২০ জন নেতাকর্মী শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ডের মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের মো. ওয়াদুদ, নুরুল ইসলাম ও আল-আমিন নামের তিন কৃষকের সাত বিঘা জমির ধান কেটে মাড়াই করে দিয়েছেন। দুর্যোগে সব সময়ই স্বেচ্ছাসেবক লীগ কৃষকের পাশে থাকবে। এমনিভাবে যদি প্রত্যেকে একে অন্যের সমস্যায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতেন তবে দেশ আরও অনেক এগিয়ে যেত।
শিহাব খান/আরএআর/এমকেএইচ
Advertisement