বাংলাদেশকে বিদেশি অচল ও নিম্নমানের পণ্যের ডাম্পিং স্টেশনে পরিণত না করতে আমদানিকারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। সেই সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করতে মানসম্মত পণ্য উৎপাদনেরও তাগিদ দেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ৪৬তম বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে বিএসটিআই আয়োজিত “বিশ্বব্যাপী সর্বজনীন ভাষা-মান” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিএসটিআই মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন। শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য শুধু দেশেই ব্যবহার হচ্ছে না, বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। বিদেশে রফতানি বাড়াতে হলে, পণ্যের গুণগতমানের বিষয়ে বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করতে হবে। বিএনপি সরকারের আমলে চিংড়িতে লোহা ঢুকিয়ে রফতানি করায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছয় বছরের জন্য বাংলাদেশ থেকে চিংড়ি আমদানি বন্ধ করে দিয়েছিল। এর ফলে ব্যবসায়ী ও দেশ উভয়ই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আমদানি কিংবা রফতানি সকল ক্ষেত্রেই গুণগতমানের বিষয়ে আপসহীন হতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পণ্য ও সেবার গুণগতমান নিশ্চিত করতে হলে, মান বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে হবে। নিম্নমানের পণ্যের বিরুদ্ধে সরকার ইতোমধ্যে দেশব্যাপী অভিযান জোরদার করেছে। ফলে মৌসুমী ফলসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যে ভেজাল প্রদানের প্রবণতা কমে এসেছে। তিনি পণ্য উৎপাদক, বাজারজাতকারী ও ভোক্তা সাধারণের মধ্যে নকল ও ভেজাল বর্জনের মানসিকতা তৈরি করতে ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের পরামর্শ দেন। বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শিল্পসচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এফবিসিসিআই’র সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমদ ও বিএসটিআই’র পরিচালক (মান) মো. রেজাউল করিম বক্তব্য রাখেন। এসআই/এসকেডি/পিআর
Advertisement