জাতীয়

সঠিক সিদ্ধান্তের কারণেই দেশে আমেরিকা-ইতালির চেয়ে আক্রান্ত কম

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘করোনা মোকাবিলায় সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণেই আক্রান্তের ৪৪ দিন পার হলেও দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা ইতালি, ফ্রান্স, আমেরিকার থেকে বহুগুণ কম রয়েছে। আজ দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩ হাজার ৯৬, গতকালও প্রায় ৩ হাজার করা হয়েছে। কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য দেশে ৪৪ দিন পর যখন লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে সেখানে আমাদের দেশে মোট আক্রান্ত এখন ৩ হাজার ৭৭২ জন। দেশে দৈনিক আক্রান্ত সর্বোচ্চ ৩০০ থেকে ৪০০ এর ঘরেই আছে।’

Advertisement

বুধবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ- ২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এটি এমনিই সম্ভব হয়নি। চিকিৎসক, নার্সদের জীবন বাজি রেখে লড়াই করা, স্বাস্থ্যখাতের যথাসময়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী উদ্যোগ গ্রহণ একই সঙ্গে দেশের মানুষের সরকারি নির্দেশনাসমূহ মেনে আত্ম-সচেতনতা বৃদ্ধির ফলেই দেশে করোনা এখনও মহাবিপর্যয়ে পৌঁছেনি। করোনায় দেশের এই বর্তমান চিত্রটি আর কিছুদিন ধরে রাখা গেলেই করোনা মহামারিকে ভালোভাবেই রুখে দেয়া সম্ভব হবে।’

সমালোচনায় হতাশ না হয়ে করোনার এই দুর্যোগের সময় স্বাস্থ্যখাতের সকলকে জনগণের পাশে থেকে নিরলস কাজ করে যেতে হবে জানিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত জেলার সিভিল সার্জনসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ করে যাওয়ার কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে সরকারের প্রতিটি নির্দেশনা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্যও অনুরোধ করেন মন্ত্রী।

Advertisement

পুষ্টি দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে, মানবদেহে পুষ্টির গুণাগুণ বর্ণনা করে মন্ত্রী বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। মন্ত্রী তার বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০২০ এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, প্রতি বছরের মতো ২৩ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত দেশব্যাপী জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালন করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এছাড়া পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে দেশব্যাপী এতিমখানা/লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে পুষ্টিকর খাবার বিতরণ, মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ জনগণের মাঝে পুষ্টিবার্তা সংবলিত ছাতা, টি-শার্ট, শাড়ি, হাত ধোয়ার উপকরণ স্মারক উপহার হিসেবে দেয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এতে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম। এছাড়া স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক সাহান আরা বানুসহ (এনডিসি) বিভিন্ন শাখার লাইন ডিরেক্টররাও সভায় বক্তব্য রাখেন।

Advertisement

এমইউ/এফআর/এমএস