‘আরে ভাই, এইডা কোনো বিচার অইলো, শুধু শাকসবজি কাঁচাবাজারে মাইনষের ভিড় বেশি অয়, এই অজুহাতে বেচাকেনা বন্ধ কইরা দিলো। আর মুদি দোকানগুলোতে চাইয়া দেহেন তো মানুষের গায়ে মানুষ লাইগ্যা থাইক্যা সমানে বেচাকেনা করতাছে। যত দোষ কাঁচামালের ব্যবসায়ীগো, না?’
Advertisement
বুধবার (২২ এপ্রিল) দুপুর ১টায় কারওয়ান বাজারের কাঁচামালের আড়তের সামনে যেতেই একজন ব্যবসায়ী চিৎকার করে দৃষ্টি আকর্ষণ করে এসব কথা বলছিলেন।
কাঁচামালের আড়তের ভেতর ও এর সংলগ্ন রাস্তায় প্রবেশ করতেই রীতিমতো চমকে উঠতে হলো। বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা আটকে দেয়া হয়েছে। গতকালও যে স্থানটি অসংখ্য ক্রেতা ও বিক্রেতার উপস্থিতিতে জমজমাট ছিল, আজ সেই আড়তে সুনসান নীরবতা। টমেটো, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স, লাউ, কুমড়া, আলু, শসা, গাজর, পেঁয়াজের সারি সারি বস্তাভর্তি মালামাল পড়ে থাকলেও কেউ নেই। দৃশ্যত মনে হলো যেন কারফিউ চলছে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) টেরিটরি ইন্সপেক্টর আব্দুল খালেক জানান, গত সপ্তাহে কারওয়ান বাজারের দুই দোকানির করোনাভাইরাসের পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ আসার পর থেকে সবজির আড়ত বন্ধ করে দেয়া হয়।
Advertisement
জানা গেছে, শাকসবজি ও খাদ্যদ্রব্য পাইকারি ব্যবসায়ীদের রাত ৯টা থেকে ২টার মধ্যে কেনাবেচা শেষ করতে বলা হয়েছে। মাছ বিক্রেতা ও আড়তদাররা ব্যবসার জন্য সময় পাবেন ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পযর্ন্ত।
বুধবার দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শনকালে সবজির বাজার ঘুরে সুনসান নীরবতা দেখা গেলেও বাইরের রাস্তায় সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র চোখে পড়ে। রাস্তাজুড়ে শত শত মানুষের উপস্থিতি। রাস্তায় বিপুলসংখ্যক যানবাহন চলাচলের ফলে রীতিমতো যানজট লেগে আছে।
ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, আর মাত্র দুদিন পড়েই রোজা শুরু। রোজাকে সামনে রেখে ক্রেতারা পাইকারি বাজার থেকে পণ্য কিনতে ভিড় জমিয়েছেন। শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার নির্দেশনা থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেনে চলতে দেখা যায়নি।
এমইউ/এমএসএইচ/পিআর
Advertisement