হজমের সমস্যা মানেই হলো গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ইত্যাদি। এর জন্য বাড়তে পারে ওজনও। হজমের সমস্যা মানে খাদ্যটি শরীরে যথাযথভাবে মিশে যেতে কোনো বাধা পাচ্ছে। হজমের প্রক্রিয়াটি হলো শরীরের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। আর স্বাভাবিক ভাবেই যদি খাদ্য সম্পূর্ণরূপে হজম না হয় তবে তা বিপাক প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যার সৃষ্টি করবে।
Advertisement
হজমের সমস্যা একদিকে যেমন ওজন বৃদ্ধি ঘটায় ঠিক তেমনভাবেই শরীর থেকে খাদ্যের অপ্রয়োজনীয় অংশগুলোকে বের করে দেয়ার ক্ষেত্রেও বাধা দান করে যা বিপাক প্রক্রিয়াটিকেই সম্পূর্ণ ভাবে নষ্ট করে দেয়।
খাদ্যের সঠিক সংশ্লেষণ এবং ওজন হ্রাসের বিষয়টি যে এক, সে বিষয়ে সহমত পোষণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, খাদ্যে যদি পুষ্টির মাত্রা যথাযথ রূপে থাকে তবে তা ঠিক প্রক্রিয়ায় শরীরে মিশে যায় কিন্তু যদি খাদ্যে পুষ্টির পরিমাণ কম থাকে তবে আপনি ক্ষুধার্ত বোধ করেন এবং শরীরে ম্যাক্রো এবং মাইক্রো পরিপোষকের চাহিদা বেড়ে যায়। যথাযথ পুষ্টিকর খাদ্য আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ওজন বৃদ্ধির সাথে বিষাক্ত বস্তুর পরিমাণ বৃদ্ধিও ভীষণভাবে সম্পর্কযুক্ত। সেই সমস্ত খাবার এড়িয়ে চলুন যাতে ক্যালোরি, ট্রান্স ফ্যাট এবং পানির পরিমাণ বেশি। তার বদলে সেসব খাবার খান যাতে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমান কম। আভাকাডো, বাদাম, অলিভ অয়েল খাবার চেষ্টা করুন, এগুলো কেবল হজমে সাহায্যই করে না তার সাথে টক্সিন তৈরিতে বাধা দেয়।
Advertisement
ফাইবার জাতীয় খাদ্য সব সময়ই শরীরের জন্য উপকারী, এটি অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ফাইবার জাতীয় খাদ্য আপনাকে বারবার ক্ষুদার্থ বোধ করায় না। এর জন্য আপনার খাদ্যের নিয়মিত তালিকায় রাখুন পেয়ারা, আপেল, শস্য জাতীয় খাদ্য, আভাকাডো, পালংশাকের মতো উপাদানকে।
পর্যাপ্ত পানি শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিসকে শারীরিক নিয়মে বের করে দেয়। দিনে অন্তত চার গ্লাস পানি পান করা উচিত। পানি যেমন কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে ঠিক তেমনই শরীরে টক্সিন জমতে দেয় না। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে শরীরে হজমের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
দই, সোয়া দুধেএর মতো প্রোবায়োটিক খাদ্য হজমের জন্য ভীষণ ভাবে উপকারী। ইমিউন সিস্টেম উন্নত করার পাশাপাশি চাপ কমাতে এর উপকারিতা প্রবল।
‘দ্য কমপ্লিট বুক অফ আয়ুর্বেদিক হোম রেমেডিস’ বইটি অনুযায়ী খাবার পূর্বে যদি একটু কুচোনো আদার সাথে একটু লেবুর রস আর সামান্য লবণ মিশিয়ে চিবিয়ে নেওয়া যায় অথবা অর্ধেক চা চামচ তেজপাতা গরম পানিতে ফেলে ১০ মিনিট ভিজিয়ে চা বানিয়ে খান তবে আপনার হজমে বিশেষ উপকার করবে।
Advertisement
এইচএন/জেআইএম