স্বাস্থ্য

অনুপ্রবেশকারী চিকিৎসকদের খুঁজছে স্বাচিপ

সদস্যদের কাছে বিজ্ঞপ্তি আকারে চিঠি পাঠিয়ে অনুপ্রবেশকারী বিএনপি-জামায়াতপন্থী চিকিৎসক খুঁজতে মাঠে নেমেছেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতারা। দীর্ঘ এক যুগ পর আগামী ১৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তজার্তিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাচিপের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে সামনে রেখে সম্প্রতি প্রস্তুতি কমিটির কো-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সদস্যপদ অনুমোদন ও ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার প্রসঙ্গ উঠলে কয়েকজন সিনিয়র সদস্য সারাদেশে অনুপ্রবেশকারী বিএনপি-জামায়াতপন্থী চিকিৎসকদের স্বাচিপের সদস্যপদ দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে এই মর্মে বেশ অভিযোগ উত্থাপন করেন। অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে অধ্যাপক ডা. মো. আলী আসগর মোড়লকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের সদস্য ফরম যাচাই-বাছাই কমিটি গঠিত হয়। মঙ্গলবার কমিটির আহ্বায়ক স্বাচিপের নিজস্ব প্যাডে স্বাচিপ নেতাকর্মীদের দেয়া এক চিঠিতে বলেন, ‘এতদ্বারা স্বাচিপের সকল সদস্যদেরকে জানানো যাচ্ছে যে, স্বাচিপের সদস্য পদের জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী কোন চিকিৎসক থেকে থাকেন তবে তার বিরুদ্ধে আনীত সুনির্দিষ্ট তথ্য লিখিতভাবে সদস্য ফরম যাচাই বাছাই কমিটির আহ্বায়কের প্রশাসনিক দফতরে শনিবার দুপুর দুইটার মধ্যে জমা দেয়ার অনুরোধ জানানো হলো।’ এছাড়াও অন্যান্য অসঙ্গতি যদি থাকে তাও অবহিত করতে বলা হয়। এ বিষয়ে বিভিন্ন শাখার সভাপতি/ মহাসচিব/ আহবায়ক/ সদস্যসচিবকে সার্বিক সহযোগিতা করতেও অনুরোধ জানানো হয়। জানা গেছে- ২০০৩ সালে স্বাচিপের সদস্য সংখ্যা ছিল মাত্র সাড়ে ১২শ’জন। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২২শ’র কাছাকাছি। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় স্বাচিপের সদস্যপদ পেতে আগ্রহীদের কাছ থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করা হয়। সর্বশেষ হিসাবে দেখা গেছে- স্বাচিপের প্রস্তাবিত সদস্যসংখ্যা ১৩ হাজারেরও বেশি। তবে তাদের সদস্যপদ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি এখনো অনুমোদন দেয়নি।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সিনিয়র সদস্য জাগো নিউজকে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার ফলে  সুযোগ-সুবিধা নিতে বহু বিএনপি জামায়াতপন্থী চিকিৎসক সারাদেশের বিভিন্ন জেলা স্বাচিপ নেতাদের নানাভাবে ম্যানেজ করে প্রাথমিক সদস্যপদ পেয়েছেন। সম্মেলন ও ভোটকে সামনে রেখে এ সব তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে।এমইউ/এসএইচএস/আরআইপি

Advertisement