করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত কারণে দেশে চলছে সাধারণ ছুটি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বন্ধ রয়েছে প্রায় সবকিছু। মানুষজন রয়েছে চরম দুর্ভোগে। এই দুর্ভোগ আরও বাড়বে যদি দ্রব্যমূল্য নাগালে রাখা না যায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নাগালের মধ্যে রাখা সরকারের অন্যতম দায়িত্ব। সে লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপের বিকল্প নেই।
Advertisement
রমজান আসতে আর বেশি দেরি নেই। মানুষজন এমনিতেই নানা সংকটে আছে। তারওপর হঠাৎ দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেলে সেটা ‘মরার ওপর খাড়ার ঘা’ হিসেবেই দেখা দেয়। পণ্যের চাহিদা ও সরবরাহ যদি ঠিক রাখা যায় তাহলে মুনাফালোভী সিন্ডিকেট খুব একটা সুবিধা করতে পারে না।
এ জন্য টিসিবিকে কার্যকর করে একটি প্যারালাল সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করার কথা বারবার বলা হলেও কাজের কাজ খুব একটা হয়নি। এ জন্য সিন্ডিকেট চক্রের পোয়াবারো। তারা যেকোনো উসিলায় যেকোনো পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। সামনে রমজান মাস। এ সময় বিশেষ কিছু পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি রাখতে হবে যেন রমজানে এসব পণ্যের সরবরাগে ঘাটতি না থাকে। আর দামও থাকে মানুষজনের নাগালের মধ্যে।
রমজানে নানামুখী অপতৎপরতা দেখা যায়। দাম বেড়ে যায় বিশেষ বিশেষ পণ্যের। পণ্য পরিবহনেও নানা সমস্যা দেখা যায়। পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজির। পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ নতুন নয়। কিছুসংখ্যক পুলিশের এই অসাধু কাজের জন্য গোটা পুলিশ বাহিনী সমালোচিত হয়। তাই দুষ্টের দমন করতে হবে। এছাড়া পণ্যে চাঁদাবাজির মাশুল কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদেরই দিতে হবে।
Advertisement
অন্যদিকে সিন্ডিকেটধারীরা ওতপেতে থাকে বিশেষ মৌসুমের সুযোগ নেয়ার জন্য। তারা যাতে সেই সুযোগ নিতে না পারে এ জন্য বাজার মনিটরিং জোরদার করতে হবে। সিন্ডিকেটচক্রের বিরুদ্ধে নিতে হবে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। তাছাড়া বাজারে টিসিবির মাধ্যমে পণ্যের সরবরাহও ঠিক রাখতে হবে। ব্যবসায়ীদের মুনাফালোভী মানসিকতা ত্যাগ করতে হবে। নীতিনৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে শুধু মুনাফার লোভ কিছুতেই কাম্য হতে পারে না। এক্ষেত্রে সরকার, ব্যবসায়ীমহলসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ভোক্তাস্বার্থ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।
এইচআর/বিএ/জেআইএম