কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের দোস্তপাড়ায় শ্যালককে গলায় ফাঁস ও বস্তা চাপা দিয়ে হত্যা করেছেন দুলাভাই। ঘাতক দুলাভাইকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
Advertisement
নিহত শিশুর নাম পিয়াস (৫)। সে দোস্তপাড়ার সুলতান শেখের ছেলে। দুলাভাই শাকিল একই এলাকার বাহাদুরের ছেলে। এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে পিয়াসের বোনকে বিয়ে করেন শাকিল।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে কুষ্টিয়ার দোস্তপাড়া এলাকার সনি রাইস মিলের গোডাউনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। শাকিল ওই রাইস মিলের কর্মচারী। নিহত পিয়াস স্থানীয় এক মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সনি রাইস মিলের ভ্যানচালক ছিদ্দিক, ম্যানেজার নাজমুলকে আটক করেছে পুলিশ।
Advertisement
স্থানীয়রা জানায়, পিয়াসের দুলাভাই শাকিল সনি রাইস মিলের গোডাউনে কাজ করেন। পিয়াসের মা পিয়ারা খাতুন, বাবা সুলতান শেখ ও পবিরারের লোকজন পিয়াসকে খোঁজাখুঁজি করেন। এ সময় পিয়াসের বন্ধু দোস্তপাড়ার রফিকের ছেলে রবিন জানায় দুলাভাই শাকিল তাকে গোডাউনে নিয়ে গেছেন। পরে গোডাউনে খোঁজাখুঁজি করে বস্তার নিচ থেকে পিয়াসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পিয়াসের বাবা সুলতান শেখ বলেন, খাজানগর গ্রামের বাহাদুরের ছেলে শাকিলের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মেয়েকে মারধর ও নির্যাতন করে আসছিল শাকিল। দেড় মাস আগে পারিবারিকভাবে শালিস করে মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠাই। ১৫ দিন আগে শাকিল আমার মেয়েকে মেরে মাথা পাঠিয়ে বাড়ি রেখে যায়। এরপর থেকে শাকিল আমাদের হুমকি দিয়ে আসছিল।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে পিয়াসকে সনি রাইস মিলের কুঁড়া সরানোর প্রস্তাব দেয় শাকিল। তখন পিয়াস দুলাভাইকে জানায় মায়ের কাছে জিজ্ঞাসা করে আসি। তার মা নিষেধ করেছিল। এরপর পিয়াসকে ধরে নিয়ে বস্তা চাপা দিয়ে হত্যা করে শাকিল।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, পিয়াস হত্যার মূল ঘাতক শাকিলকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। হত্যার বিচার দাবিতে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তদন্ত করে হত্যাকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
আল-মামুন সাগর/এএম/পিআর