জাতীয়

বোরো ধানের লাভজনক দাম নিশ্চিত করার দাবি

বাংলাদেশ বিপ্লবী কৃষক সংহতির সভাপতি আনছার আলী দুলাল ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সাহাদাৎ হোসেন আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে দেশের প্রায় দুই কোটি কৃষকের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনাকে ‘নিতান্ত অপ্রতুল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তারা বলেছেন এই প্রণোদনার টাকা প্রকৃত কৃষকের কাছে কীভাবে পৌঁছাবে তাও নিশ্চিত নয়। তারা কৃষি, মৎস্য ও দুগ্ধ খামারসহ গ্রামীণ খাতে জরুরিভিত্তিতে ৩০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা এবং সরাসরি তা উৎপাদকের কাছে পৌঁছানোর দাবি জানান।

Advertisement

নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন করোনা দুর্যোগে হাওর অঞ্চলসহ সারাদেশে বোরো ফসল কৃষক কীভাবে ঘরে তুলবে তা নিয়ে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা রয়েছে। কৃষি শ্রমিকের সংকট ও নগদ টাকার অভাবে বোরোর আবাদ তোলা নিয়ে কৃষকের বিপর্যস্ত অবস্থা। করোনার কারণে কৃষি বাজারেও মারাত্মক মন্দা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শাক সবজিসহ কৃষিপণ্যের দাম একেবারে নিচে নেমে গেছে। পরিবহন ও বাজারজাতকরণেও সৃষ্টি হয়েছে বহুমুখী সংকট। কৃষক বোরো ধানের লাভজনক দাম পাবে কি না তা নিয়ে রয়েছে গভীর অনিশ্চয়তা। দুধের দাম না পেয়ে দুধের খামারিরা পুরোপুরি নাকাল।

নেতৃবৃন্দ এই পরিস্থিতির অবসানে বোরো ফসলের কমপক্ষে ২০ শতাংশ সরকারনির্ধারিত মূল্যে প্রকৃত চাষির কাছ থেকে সরাসরি কেনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এ জন্য গ্রামের বাজার থেকে সরাসরি ধান কেনার দাবি তাদের। সরকারি ভর্তুকি যাতে চাতালের মালিকসহ মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে না যায় তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তারা।

নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা দুর্যোগ মোকাবিলা করে মানুষ বাঁচানো কৃষি ও গ্রামীণ খাতকে অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন। কৃষি ও গ্রামীণ খাতই এখন উৎপাদনের সাইকেলকে অব্যাহত রাখতে পারে। নেতৃবৃন্দ এ জন্যে প্রয়োজনে বাজেট বরাদ্দ সংশোধন করারও পরামর্শ দেন। কৃষি ও গ্রামীণ খাতের বরাদ্দ নিয়ে চুরি, দুর্নীতি ও দলীয়করণের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলারও ডাক দেন তারা।

Advertisement

এফএইচএস/জেডএ/পিআর