নরসিংদীতে পাঁচ চিকিৎসকসহ ১৩৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩৫। এর মধ্যে পলাশ উপজেলায় শামীম নামে একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এছাড়া আক্রান্তদের তিন ভাগের এক ভাগই জেলার স্ব্যাস্থ্যকর্মী।
Advertisement
সদর হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৪৪ কর্মীও কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে জেলাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও তা মানছেন না মানুষ।
অন্যদিকে গত দুই দিন ধরে জেলার হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নমুনা সংগ্রহ হলেও রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, কাজের চাপ বেড়েছে। তাই রিপোর্ট আসতে বিলম্ব হচ্ছে।
সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, সর্বশেষ গত ১৮ এপ্রিল ৭৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ৩০ জনের শরীরে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি পাওয়া যায়।
Advertisement
নরসিংদী জেলা করোনা প্রতিরোধ ইমারজেন্সি সেলপ্রধান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইমরুল কায়েস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে ৭৭ জনের পরীক্ষার পর সর্বশেষ প্রাপ্ত ৩০ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি পাওয়া যায়। এই ৩০ জনের মধ্যে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও রয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছেন। তবে বিষয়টি স্বীকার করতে নারাজ স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা করোনা প্রতিরোধ ইমারজেন্সি সেলপ্রধান।
গত ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য মতে, আক্রান্তদের মধ্যে নরসিংদী সদর উপজেলায় মোট ৭০ জন, রায়পুরায় ২৬ জন, পলাশে পাঁচজন, শিবপুরে ১৭ জন, বেলাবতে ১১ জন এবং মনোহরদীতে পাঁচজন রয়েছেন।
জেলায় এখন পর্যন্ত ৪৯৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৩৪ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আক্রান্তদের নরসিংদী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা কোভিড-১৯ হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
গত দুদিন ধরে নমুনা সংগ্রহের পর রির্পোট দেরিতে আসা প্রসঙ্গে জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহীম টিটন বলেন, নরসিংদীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোনো ল্যাব নেই। নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। পরে আমরা রিপোর্ট পাই। এখন সারাদেশে পরীক্ষার চাপ বেড়েছে। তাই একটু বিলম্ব হচ্ছে।
Advertisement
জেলা করোনা প্রতিরোধ ইমারজেন্সি সেলপ্রধান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইমরুল কায়েস বলেন, নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিভাগ আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। সেগুলোর মধ্যে সর্বশেষ ৩০ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ১৩৪ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
সঞ্জিত সাহা/এমএআর/এমএস