ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে সহিদ সেক নামে একজন নিহত হয়েছেন। অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ভাঙ্গা, সদরপুর ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত সহিদ সেক লক্ষ্মীপুর গ্রামের জয়নাল সেকের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সকালে ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাহেব আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি আসলাম ফকির ও তার সমমানা ওসমান মাতুব্বর এবং জাহাঙ্গীর সেকের সমর্থকদের সঙ্গে একই এলাকার শাজাহান মাতুব্বরের লোকজনের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে আসলাম ফকিরের লোকজন শাজাহান মাতুব্বরের লোকজনের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর লুটপাট করে দামি জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এ সময় তাদেরকে বাধা দিলে আসলাম ফকিরের লোকজন শাজাহান মাতুব্বরের সমর্থক সহিদ শেককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ভাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুর রহমান বলেন, গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওই এলাকা থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।
Advertisement
মানিকদহ ইউপি চেয়ারম্যান তারেক সাঈদ বলেন, ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাহেব আলীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকারিরাই এলাকাটিকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। সাহেব চেয়ারম্যানকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আসলাম ফকিরের ফাঁসির আদেশ হলে রাষ্ট্রপতি তাকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন।
জেল থেকে বের হয়ে এসে আসলাম ফকির গ্রামে অপরাজনীতি শুরু করেছেন। আজকের ঘটনায় আসলাম ফকির নিজে নেতৃত্ব দিয়ে গ্রামের একজন সাধারণ মানুষকে হত্যা করিয়েছেন। আমরা গ্রামবাসী এসব খুনের সঠিক বিচারসহ এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।
বি কে সিকদার সজল/আরএআর/পিআর
Advertisement