জাতীয়

আর কবে সচেতন হবে মানুষ

বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকার প্রথম পর্যায়ে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশব্যাপী সাধারণ ছুটির ঘোষণা দেয়। পরবর্তীতে তা দুই দফা বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। এর মূল কারণ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা। কিন্তু ঘর বাইরে বের হলে বোঝার উপায় নেই যে, করোনা পরিস্থিতিতে ঝুঁকিতে আছে দেশ।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতেও প্রতিদিন রীতিমতো বাজারে ভিড় জমাচ্ছে মানুষ। কেউ আসছে বাজার করতে, আবার কেউ কেউ অকারণেই ভিড় করছে। গাদাগাদি করে গায়ে গায়ে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনছে। অন্যদেরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানুষ অন্য স্বাভাবিক সময়ের মতোই বাজারে ভিড় করছে। সবার মুখে মাস্ক থাকলেও সামাজিক দূরত্ব কোনোভাবেই মানা হচ্ছে না।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে যারা অহেতুক অকারণে বাইরে বের হচ্ছেন তাদের জরিমানা করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবুও অকারণে মানুষের বের হওয়া থামানোই যাচ্ছে না।

Advertisement

রাজধানীর বাড্ডার একটি বাজার ঘুরে দেখা গেল, সাধারণ ক্রেতারা প্রতিটি দোকানেই ভিড় করে আছেন। বিক্রেতারাও হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে। প্রতিটি দোকানে সাত-আটজন করে ক্রেতার উপস্থিতি দেখা গেল।

বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস পরে বাজারে এসেছেন নিত্যপণ্য কিনতে। তিনি বলেন, যেহেতু দুপুর ২টার পর সব দোকান বন্ধ হয়ে যায় তাই এর আগেই সবাই বাজারে ভিড় করে। এমনভাবে ভিড় করে দেখে মনে হয় দেশে করোনা নিয়ে কোনো ভয় নেই। আমরা যারা কিছুটা সচেতন থাকতে চাই তারাও বাজারে অন্য সব মানুষের অসেচনতার কারণে করোনার ঝুঁকিতে পড়ছি। এখনও বাজারে যে ভিড় তাতে করে আর কবে সচেতন হবে মানুষ?

বাড্ডা গুদারাঘাট সংলগ্ন বাজারের মুদি দোকানী জাহিদুর রহমান বলেন, আসন্ন রমজান উপলক্ষে মানুষ বাজারে বেশি ভিড় করছে। রমজানের কেনাকাটা আগেই সেরে নিচ্ছে। দোকানের বাইরে দড়ি দিয়ে ঘিরে রেখেছি, তবুও সেটা পার হয়ে মানুষ দোকানে চলে আসছে।

তিনি বলেন, আমাদের পেটের তাগিদে দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে, তবে দুপুর ২টার মধ্যেই আমরা দোকান বন্ধ রাখি। তবুও ক্রেতারা এতটাই ভিড় করে যা দেখে মনে হয় দেশে কোনো করোনা পরিস্থিতি নেই। নিজেরাই সচেতন না হলে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েও লাভ নেই।

Advertisement

কাঁচাবাজার, মাছবাজার, নিত্যপণ্য বাজারে গিয়েও দেখা গেল, ঘেঁষাঘেঁষি করে দোকানে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনছেন ক্রেতারা। এছাড়া ত্রাণ নিতে, টিসিবি থেকে পণ্য কিনতে, ১০ টাকা কেজির চাল নিতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দুরত্ব।

এএস/বিএ/জেআইএম