বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর হিসাব রাখার দায়িত্ব সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর)। তাদের তথ্যমতে, ২০ এপ্রিল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৯৪৮ জন। যদিও তাদের ওয়েবসাইটেই অঞ্চলভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনা রোগীর সংখ্যা দুই হাজার ৬০৫ জন। অর্থাৎ, বাকি ৩৪৩ জন কোন অঞ্চলের, সেই তথ্য উল্লেখ নেই।
Advertisement
সোমবার (২০ এপ্রিল) নিয়মিত বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানিয়েছেন, নতুন ৪৯২ জনসহ দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট দুই হাজার ৯৪৮ জন। তাদের ওয়েবসাইটের ‘ডেট ওয়াইস কোভিড-১৯ কেস’ অংশ অনুযায়ীও দেশে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা একই।
কিন্তু আইইডিসিআর অঞ্চলভিত্তিক করোনায় আক্রান্ত রোগীর যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, করোনা রোগীর সংখ্যা দুই হাজার ৬০৫ জন। অর্থাৎ, ৩৪৩ জন কোন অঞ্চলের আক্রান্ত করোনা রোগী, সেটার হিসাব দিতে পারেনি আইইডিসিআর।
আইইডিসিআরের অঞ্চলভিত্তিক হিসাবমতে, ২০ এপ্রিল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ঢাকা মহানগরীতে ১ হাজার ১৭৪ জন, মহানগরী বাদে ঢাকা বিভাগে ১ হাজার ১০৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১৮ জন, সিলেট বিভাগে ৮ জন, রংপুর বিভাগে ৫০ জন, খুলনা বিভাগে ৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৮১ জন, বরিশাল বিভাগে ৪৭ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ১২ জন। ঢাকা মহানগরীসহ সব বিভাগের রোগীর সংখ্যা যোগ করলে দাঁড়ায় মোট দুই হাজার ৫০৬ জন। ফলে স্বাস্থ্য অধিদফতর দুই হাজার ৯৪৮ জন করোনা রোগীর কথা বললেও বাকি ৩৪৩ জন কোন অঞ্চলের, সেই তথ্য নেই।
Advertisement
নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে কিছু অঞ্চলের করোনায় আক্রান্ত রোগীর তথ্য তুলে ধরে আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘বিস্তারিত তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।’ তবে ওয়েবসাইটে অঞ্চলভিত্তিক করোনা রোগীর সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের কাছে অনেকের তথ্য নেই। অনেকের অ্যাড্রেস (ঠিকানা) নেই। অনেক রোগী আছে, যারা অ্যাড্রেস দেননি। অনেকের টেলিফোন নম্বর থাকে না। যাদের লোকেশন আইডেন্টিফাই (অঞ্চল চিহ্নিত) করা সম্ভব হয়েছে, সেগুলো দিয়ে আমরা এটা (অঞ্চলভিত্তিক) করেছি। কিছু তথ্য এখনও আমরা সংগ্রহ করছি। সেই জন্য তাদের তথ্য নেই। আমরা সেগুলো সংগ্রহ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকের হাসপাতালের অ্যাড্রেস দেয়া আছে, হাসপাতালের টেলিফোন নম্বর দেয়া আছে, সেসব ক্ষেত্রে এসব তথ্য পাওয়া একটু ডিফিকাল্ট (জটিল) হচ্ছে। আমরা কালেক্ট করতেছি, আর আপডেট করতেছি। প্রতিদিনই রোগী নতুন নতুন যোগ হয়, তো লেটেস্ট যে রোগী থাকে, তাদের অনেকের তথ্যও মিসিং (বাদ) থাকে। সেগুলো (বাদ যাওয়া) সংগ্রহ করি আবার আবার নতুন যোগ হয়-এভাবে চলে।’
পিডি/এসআর/এমকেএইচ
Advertisement