বিশ্ব মহামারি করোনার ক্রান্তিকালে কর্মহীন হয়ে থাকা কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো ব্যক্তি উদ্যোগে প্রায় ৬০০ পরিবারের মাঝে নিত্য-প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে চৌফলদন্ডী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসব বিতরণ করা হয়।
Advertisement
সৈকত তীরের পর্যটনসেবী প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদীয়া গেস্ট হাউজের সত্ত্বাধিকারী চৌফলদন্ডীর বাসিন্দা প্রবাসী ব্যবসায়ী মুবিনুল আলম নিজস্ব তহবিল থেকে এসব ভোগ্যপণ্য সহায়তা দেন। চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী যুবক তার পক্ষ হয়ে প্রকৃত অসহায় ও কর্মহীন পরিবারে এসব সহায়তা তুলে দেন। এতে প্রতি পরিবারে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি ছোলা, ২ কেজি পেঁয়াজ, ২ কেজি সেমাই, ১ কেজি চিনি ও ১ লিটার সয়াবিন তেল দেয়া হয়েছে।
চৌফলদন্ডী হাইস্কুল মাঠে বিতরণ হওয়া ত্রাণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কক্সবাজার জেলা পরিষদ চ্যেয়ারম্যান সাবেক এমপি মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী। এ সময় অতিথি উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসন-৮ এর সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা মোস্তাক।
সাংসদ কানিজ ফাতেমা মোস্তাক বলেন, করোনায় জীবিকা হারানো অসহায়রা কেবল সরকারি সহযোগিতায় নিত্য-জীবনের সাচ্ছন্দ্য পাবেন না। চৌফলদন্ডীর অসহায় মানুষের খোঁজ নিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে প্রবাসী মুবিন আলম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আমাদের অনুরোধ মুবিনের মতো স্বচ্ছল ব্যক্তিরা স্ব-উদ্যোগে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান। তবে, সবার উচিত চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের নির্দেশনা মেনে নিরাপদে অবস্থান করা। তিনি চৌফলদন্ডীর সাধারণ জনতাকে তা মানার আহ্বান জানান।
Advertisement
ত্রাণ বিতরণ কমিটির সমন্বয়ক প্রবাসী ব্যবসায়ী মুবিন আলমের ছোট ভাই শহীদুল ইসলাম ও মোহাম্মদীয় গেস্ট হাউজের ব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বিগত ৩ দিন ধরে আমরা চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে সরেজমিনে গিয়ে ৫০০ অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণের কার্ড সরবরাহ করা হয়।
পূর্ব নির্ধারিত সময় মতো সোমবার সকাল থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সুশৃঙ্খল ভাবে ত্রাণ বিতরণ শুরুর পর কার্ড প্রাপ্তরা ছাড়াও অতিরিক্ত ১০০ পরিবার স্কুল মাঠে উপস্থিত হয়। তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত পরিবারের জন্য সমপরিমাণ ত্রাণ এনে সর্বমোট ৬০০ পরিবারকে সহায়তা করা হয়েছে। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তারা।
এ সময় জেলা পরিষদ সদস্য মাহমুদুল হক মাদু, মোহাম্মদীয়া গেস্ট হাউজের কর্মকর্তা হাফেজ মো. ইসহাক, মোঃ শাকিল ও কামরুলসহ এলাকার গণ্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সায়ীদ আলমগীর/এমআরএম
Advertisement