বিনোদন

চ্যানেল আইতে লোক সংগীতের প্রতিযোগিতা

দেশে প্রথমবারের শুরু হচ্ছে আড়ং ডেইরি-চ্যানেল আই লোক সংগীতের প্রতিযোগিতা ‘বাংলার গান ২০১৫’। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে চ্যানেল আই ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর এবং প্রতিযোগিতার প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ব্রাক ডেইরি অ্যান্ড ফুড এন্টারপ্রাইজের পরিচালক তৌফিকুর রহমান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেন, শিল্পী রথিন্দ্রনাথ রায়, রিজিয়া পারভীন, সেলিম চৌধুরী, হায়দার হোসেন, শাহনাজ বেলী, জলের গানের রাহুলসহ আরও অনেকে। সেখানে জানানো হয় এই প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু। তাদের সাথে থাকবেন একজন করে অতিথি বিচারক। প্রতিযোগিতাটি পরিচালনা করবেন রেহানা সামদানী।সংবাদ সম্মেলনের প্রধান অতিথি এবং উপস্থিত শিল্পীরা একই মত পোষণ করে বলেন,  ‘আমাদের শক্তি আমাদের সংস্কৃতি আমাদের সংগীত, লোক সংগীত। আমাদের লোকসংগীতের বিশাল ভান্ডার, বর্তমান প্রজন্মের সাথে যার যোগসুত্র প্রায় ছিন্ন হতে চলেছে প্রাচ্যের বাদ্য উপস্থাপনার তোড়ে। মুখে মুখে গীত অনেক গানই সংরক্ষণের অভাবে প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে। এখন সময় এসেছে সংরক্ষণের। সে লক্ষেই ক্ষুদ্র প্রয়াস রাখতে এই প্রতিযোগীতা। এখান থেকে লোক সংগীতের অনেকি শিল্পী বেরিয়ে আসবে যারা এই ঘরানার গানকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিবে।’বাংলা গানের লোক সংগীতের শাখায় আছে- বাউল, ভান্ডারী, ভাটিয়ালী, ভাওয়াইয়া, ধামাইল, গজল, গম্ভীরা, জারি, সারি, কীর্তন, লালন, কবিগান, যাত্রাপালা, শ্যামা সংগীত, হাসনরাজা ও লালন শাহের গান। বাউল গানের বানী মূলত দেহততত্ত্বের উপর ভিত্তি করে সৃষ্টি এবং সহজ বোধ্য, যার রসবোধ আস্বাদনের আনন্দই আলাদা, বোধ করি সেটাই হয়ত এই প্রজন্মকে আকর্ষণ করছে এবং করবে। এই ধারায় যুক্ত করতে চাই দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আঞ্চলিক গানগুলিকেও।মুখে মুখে গীত গানগুলো সংরক্ষণ এবং এই গানগুলো লোক সংগীতের ভান্ডারে স্থায়ীভাবে যুক্ত করে এই প্রজন্মের আরো কাছাকাছি পৌঁছে দেওয়া অনুষ্ঠানটির একটি উদ্দেশ্য। আধুনিক উপস্থাপনার (ফিউশন) মাধ্যমে এই প্রজন্মের দর্শক- শ্রোতার কাছে লোক সংগীত তথা আঞ্চলিক গানকে জনপ্রিয় করে তোলা এবং নবীন কন্ঠশিল্পীদের লোক গানে উৎসাহিত করা এই আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য। বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগ থেকে ১৫ জন করে সর্বোচ্চ ১২০ জন অডিশনের মাধ্যমে নবীন কন্ঠ বাছাই করা হবে। এরপর বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৪৮ জনকে নির্বাচন করা হবে। সেখান থেকে বছাই করা হবে মূল প্রতিযোগিতার জন্য ১২ জন প্রতিযোগিকে। এরপর ধাপে ধাপে চলবে বিজয়ী কণ্ঠ বেরিয়ে আসার লড়াই। শিগগির অডিশনের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।২৭ পর্বের এই অনুষ্ঠানটির প্রচার শুরু হবে ৭ ডিসেম্বর’২০১৫ প্রতি সোমবার সন্ধ্যে ৭টা ৫০ মিনিটে চ্যানেল আইতে।এলএ/এমএস

Advertisement