জাতীয়

খুনি মোসলেহ উদ্দিনের ‘আটক’ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে

সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরেক খুনি রিসালদার (বরখাস্ত) মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ ভারতে ধরা পড়েছেন কি না তা নিশ্চিতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বাংলাদেশ।

Advertisement

সোমবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জাগো নিউজকে এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘সংবাদমাধ্যম মারফত আমরাও বিষয়টি জেনেছি। তবে সরকারিভাবে বিষয়টি জানি না।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। নয়াদিল্লিতে আমাদের হাইকমিশনের মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। তবে এখনও আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা নিশ্চিত হলেই আপনাদের জানাব।’

উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল হঠাৎ করেই বঙ্গবন্ধু হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদকে ঢাকায় গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ১২ এপ্রিল তার ফাঁসি কার্যকর করে বাংলাদেশ।

Advertisement

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, আবদুল মাজেদ ভারতে পালিয়ে ছিলেন। এদিকে সোমবার ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা ‘মুজিবের আরেক খুনিও কি এই বঙ্গে?’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, আব্দুল মাজেদের মতো পরিচয় লুকিয়ে শেখ মুজিবের আরেক খুনিও দীর্ঘদিন পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিয়ে রয়েছে বলে দাবি বাংলাদেশের গোয়েন্দা সূত্রের।

মাজেদকে জেরা করে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা তার বিষয়ে জানতে পেরেছেন বলে ওই সূত্রের দাবি। ভারতের গোয়েন্দাদের সহযোগিতায় রিসালদার (বরখাস্ত) মোসলেহ উদ্দিন নামে এই সাবেক সেনা অফিসারকে উত্তর চব্বিশ পরগনায় তার ডেরা থেকে আটক করা গেছে বলেও সূত্রের দাবি। আবার অন্য একটি সূত্রের খবর, মাজেদ আটক হওয়া মাত্রই নিজের মৃত্যু-সংবাদ ছড়িয়ে গাঢাকা দিয়েছে মোসলেহ উদ্দিন।’

এর আগে মোসলেহ উদ্দিনের ভারতে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাগো নিউজকে জানান, তার কাছে পুরোপুরি নিশ্চিত কোনো খবর নেই। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন তিনি।

Advertisement

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময় মোসলেহ উদ্দিন অন্য আসামিদের সঙ্গে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। বলা হয়ে থাকে, তিনিই বঙ্গবন্ধুর ওপর গুলি চালিয়েছিলেন। তার অবস্থানের বিষয়ে সরকারের কাছে নিশ্চিত কোনো তথ্য না থাকলেও অনুমান করা হতো তিনি থাইল্যান্ডে পালিয়ে আছেন।

জেপি/এফআর/এমএস