টাঙ্গাইলের সখীপুরের দাড়িয়াপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে এক ব্যক্তি করোনা ‘পজিটিভ’ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। তিনি জাতীয় কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অফিস সহায়ক (ওয়ার্ড বয়) হিসেবে কর্মরত।
Advertisement
গত বুধবার নমুনা পরীক্ষা দিয়ে তিনি আইসোলেশনে ভর্তি না হয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। শনিবার মোবাইল ফোনে ফলাফল ‘পজেটিভ’ পাওয়ার সংবাদ পেয়ে রোববার ওই ব্যক্তি ঢাকায় ফিরে আইসোলেশনে ভর্তি হন। জাতীয় কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কর্মরত আইয়ুব হোসেন নামের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ওই গ্রামের ১০টি বাড়ি লকডাউন করেছেন। সোমবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সোবহান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শামীম জানান, গত বুধবার ঢাকায় নমুনা দিয়েই তিনি নিজ বাড়িতে চলে আসেন। চারদিন বাড়ি থেকে গতকাল রোববার বিকেলে তিনি তার কর্মস্থল ঢাকার ওই হাসপাতালে চলে যান।
Advertisement
ওই ব্যক্তি যে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গোড়াই স্টেশনে নামেন সেই অটোরিকশার চালকের বাড়িও লকডাউন করা হচ্ছে— জানান তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সোবহান জানান, সখীপুরে এখন পর্যন্ত ৪৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩৯ জনের নমুনার ফলাফল আমাদের কাছে এসেছে। এর মধ্যে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। তবে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর অজ্ঞতার কারণে সখীপুরে করোভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, ওই রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের বাড়িঘর লকডাউন করা হয়েছে।
আরিফ উর রহমান টগর/এমএআর/জেআইএম
Advertisement