মাগুরা শহরের বেওয়ারিশ কুকুর ও বিভিন্ন পশুর জন্য নিয়মিত দুই বেলা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রথম পর্যায়ে প্রতিদিন ১০ কেজি চাল ও চার কেজি মুরগি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে তরুণ ডেকোরেটর নামে একটি প্রতিষ্ঠান এ চাল ও মুরগি রান্না করে শহরের চারটি নির্দিষ্ট স্থানে সরবরাহ করবে।
Advertisement
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান জাগো নিউজকে জানান, বাসাবাড়ির পাশাপাশি শহরের খাবারের হোটেলসহ বিভিন্ন দোকানের পচা-বাশি, উচ্ছিষ্ট ও অতিরিক্ত খাবার বেওয়ারিশ কুকুরসহ বিভিন্ন পশুর খাবারের প্রধান উৎস। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে শহরের অধিকাংশ হোটেলসহ খাদ্যদ্রব্যের দোকান বন্ধ। ফলে কুকুরসহ ভ্র্যামমাণ বেওয়ারিশ প্রাণীরা খাদ্য সংকটে পড়েছে। বিশেষ করে খাবার সংকটের কারণে শহর ও পাড়া-মহল্লায় ঘুরে বেড়ানো বেওয়ারিশ কুকুরগুলো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতি বিবেচনা করে ওদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য শহরের তরুণ ডেকোরেটরের মালিক তার প্রতিষ্ঠানের লোক দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে এ খাবার রান্না ও সরবরাহের দায়িত্ব নিয়েছেন।
প্রতিদিন ১০ কেজি চাল এবং চার থেকে পাঁচ কেজি বয়লার মুরগি রান্না করে সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনে চাহিদা অনুযায়ী এর পরিমাণ আরও বাড়ানো হতে পারে বলেও এ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন।
তরুণ ডেকোরেটরের মালিক তরুণ ভৌমিক জানান, দিবাগত রাত থেকে তিনি তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের দিয়ে রান্নার ব্যবস্থা করেছেন এবং সকাল ও সন্ধ্যায় দু’বার রান্না করে শহরের চারটি নির্ধারিত স্থানে এসব খাবার সরবরাহ করা হবে।
Advertisement
মো. আরাফাত হোসেন/এমএআর/এমকেএইচ