ঢাকা মহানগর হাসপাতালে কেন্দ্রীয় ওষুধাগার (সিএমএসডি) যেসব এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহ করেছে, সেখানে কোনো ধরনের ভুল এন-৯৫ মাস্ক ছিল না বলে দাবি করেছেন সিএমএসডি পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদ উল্লাহ।
Advertisement
সোমবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সরাসরি অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
এর আগে দুপুরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ জেলা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এন-৯৫ লেখা বক্স, কিন্তু ভেতরে যে জিনিসটা সেটা সঠিক থাকে কি-না? এটা একটু আপনারা জানাবেন। যেহেতু লাইভে অনেকেই আছেন, তাই কথা বলছি না। তবে লেখা আছে এন-৯৫ কিন্তু ভেতরের জিনিস সবসময় সঠিকটা যাচ্ছে না। এর সাপ্লাইয়ার কে? সরাসরি বললাম তো, বাবুবাজারের মহানগর হাসপাতালে এগুলো যাচ্ছে। এটা তো করোনাভাইরাসের জন্য ডেডিকেটেড। এ রকম যদি কিছু কিছু জায়গায় হয়, এটা তো ঠিক নয়। বক্স তো ঠিক আছে, কিন্তু বক্সের ভেতরের জিনিসগুলো ঠিক আছে কি-না…, আমার মনে হয় নজরদারিটা একটু বাড়ানো দরকার। বা যিনি রিসিভ করবেন, তিনি দেখেশুনে যেন রিসিভ করেন।’
প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের অল্প কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনলাইন ব্রিফিং। এ সময় সিএমএসডি পরিচালক শহিদ উল্লাহ বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে কোভিড-১৯ মহানগর হাসপাতালের বিষয়ে তথ্য পেলাম যে, এটা অন্য মাধ্যমে এসেছে। ওখানে গ্লাভস বা মাস্ক দেয়া হয়নি। মানে ভুল এন-৯৫ মাস্ক, এ ধরনের বিষয়টা। তাৎক্ষণিকভাবে পরিচালক মহোদয়ের সাথে আমি কথা বলে নিশ্চিত করলাম যে, আমরা তাদের যা সরবরাহ করেছি, সেখানে কোনো ধরনের ভুল এন-৯৫ মাস্ক বা কেএন-৯৫ মাস্ক ছিল না। মহানগর হাসপাতালের পরিচালক নিশ্চিত করে বলেছেন, এই মাস্কগুলো (সিএমএসডির দেয়া) ঠিক আছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর এই মানগুলো দেখেন, কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।’
Advertisement
শহিদ উল্লাহ আরও বলেন, ‘আমি এরপর জানতে পারলাম, ওখানে বিভিন্ন সংস্থা তাদের কিছু চিকিৎসার সামগ্রী সংগ্রহ করেন। যে ভুল তথ্যগুলো উনার কাছে এসেছে, এগুলোর কোনোটাই কিন্তু সিএমএসডির না। এ বিষয়ে বলব, সিএমএসডি এখন বদ্ধপরিকর যে, কোনো ধরনের ভুল জিনিস ও দ্রব্যাদি যেন না যায়। সঠিকভাবে দেখার পর, তার মান নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা সেগুলো সরবরাহ করব।’
এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের জন্য কাউকে অনুমোদন দেয়া হয়নি— জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা এই ধরনের মাস্ক আগেই সরবরাহ করেছেন, সিএমএসডি তাদের কোনোভাবে কার্যাদেশ প্রদান করেনি। আমি আগেই বলেছি, বাংলাদেশের যেসব প্রতিষ্ঠান মাস্ক সরবরাহ করে, তাদের স্বাভাবিক মাস্ক সরবরাহ করার জন্য কার্যাদেশ দিয়েছি। যার মান ও যার মূল্য ওধুষ প্রশাসন নির্ধারণ করে।’
‘আমি অনুরোধ জানাব, বিভিন্ন স্তরের হাসপাতালের যে পরিচালক এবং তাদের যে সুপারিনটেনডেন্ট বা তত্ত্বাবধায়ক আছেন, সিএমএসডি থেকে যদি আপনাদের ওখানে কোনো ধরনের দ্রব্যাদি সরবরাহ হয়, যদি কোনো ধরনের অসঙ্গতি দেখতে পান, আমাদের সাথে অবশ্যই যোগাযোগ করে সেগুলো নিশ্চিত করবেন। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
পিডি/এমএআর/এমকেএইচ
Advertisement