রাজনীতি

স্থানীয় সরকার নির্বাচন : আওয়ামী লীগের সুরে শরীকরাও

দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে মহাজোটের অন্যান্য শরীক দলগুলো। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সুর মিলিয়ে শরীক দলগুলো মনে করছে- এর মধ্য দিয়ে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে স্বাধীন এবং গণতান্ত্রিক পন্থার দিকে অগ্রসরমান করা যাবে। মহাজোট সরকারের অন্যতম শরীক দল বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি এবং বেসরকারি বিমান ও পর্যটন বিষয়কমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন মনে করেন, এটি বর্তমান সরকারের সাহসী এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।রাশেদ খান মেনন জাগো নিউজকে জানান, দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের গৃহীত সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়ায় আমরা সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছি। এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে পাকিস্তানি সামরিক শাসক আইয়ুব খানের আমল থেকে শুরু করে বাংলাদেশ পরবর্তী সামরিক শাসকদের নীতির অবসান ঘটলো।বামপন্থী এই নেতা আরো বলেন, বিদ্যুৎ, তেল, গ্যাসসহ নানা ইস্যুতে আমরা সরকারের বিরোধীতা করে আসছি। কিন্তু যৌক্তির কারণেই আমাদের পার্টি সরকারের এ সিদ্ধান্তকে সমর্থন দিচ্ছে। একইভাবে সরকারের এ সিদ্ধান্তকে নীতিগতভাবে সমর্থন জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া। তিনি বলেন, দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি। তৃণমূলে রাজনৈতিকভাবে গণতন্ত্রের চর্চা আরো বেগবান করতে হলে এ সিদ্ধান্তের কোনো বিকল্প ছিল না।এ পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে বড় দলগুলো নির্বাচনে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করতে পারে কি-না -এমন প্রশ্নের জবাবে জাসদের এ নেতা জাগো নিউজকে বলেন, বড় দলগুলো ফলাফল তাদের অনুকূলে নিতে পারে -এই ভয়ে তো একটি ভুল রাজনীতির উপর দাঁড়িয়ে থাকা যায় না। অরাজনৈতিক সরকারগুলো এসে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় প্রভাব খাটিয়েছে। তারা সমাজকে বিরাজনীতিকীকরণের জন্য স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। তিনি আরো বলেন, উন্নত বিশ্বে এ পদ্ধতিতেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়। আমরা দেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়ে রাজনীতি করছি। পিছিয়ে থাকার আর সময় নেই। সরকার মহাজোটের শরীক দলগুলোর সমর্থন নিয়েই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান নুরুল আম্মিয়া।  উল্লেখ্য, গত সোমবার স্থানীয় সরকার পরিচালনার সংশোধিত পাঁচটি আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) আইন- ২০১৫’, উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন- ২০১৫’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন- ২০১৫’, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) আইন- ২০১৫’ ও স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধন) আইন ২০১৫’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।  এর ফলে সংশোধিত আইন অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশন ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রেও মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নির্বাচন না হলে প্রশাসক নিয়োগ দিবে সরকার।এএসএস/জেডএইচ/আরএস/আরআইপি

Advertisement